থিসিস জালিয়াতি‌ করলেও বহিষ্কার করা হয়নি সামিয়া রহমানদের

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জানুয়ারি ২৮ ২০২১, ২৩:০৯

গবেষণা থিসিসে অন্যের লেখা জালিয়াতি করে নিজের গবেষণা বলে চালিয়ে দিলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহাল থাকছে অভিযুক্ত তিনজন শিক্ষক। দেশের প্রধান জাতীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন গবেষণা চুরির ঘটনায় তাদেরকে শুধুই পদাবনতির ‘শাস্তি’ দেয়া হয়েছে।

পদাবনতি হওয়া তিন শিক্ষক হলেন- গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সামিয়া রহমান, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওমর ফারুক এবং অপরাধ বিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় বৃহস্পতিবার বিকালে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সভায় উপস্থিত থাকা একাধিক সিন্ডিকেট সদস্য এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিন শিক্ষকের মধ্যে বামঘেষা মিডিয়াকর্মী হিসেবে বিখ্যাত সামিয়া রহমানকে সহযোগী অধ্যাপক থেকে সহকারী অধ্যাপক পদে পদাবনতি দেয়া হয়েছে।

এদিকে তার এ পদাবনতিতে আপত্তি জানিয়েছেন ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির নেতা শাহরিয়ার কবির। সামাজিক মাধ্যমে করা কমেন্টে তিনি সংশয় প্রকাশ করে প্রশ্ন করেছেন, ‘সামিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা কতটুকু?’ যদিও তার এ মন্তব্যের পর সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা ও বিদ্রুপ শুরু হয়েছে।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ওমর ফারুকের পিএইচডি ডিগ্রি বাতিলসহ তাকে প্রভাষক পদে অবনমন করা হয়েছে।

এছাড়া সৈয়দ মাহফুজুল হক মারজান শিক্ষা ছুটি শেষে চাকরিতে যোগদান করার পর আরও দুই বছর প্রভাষক পদে থাকবেন।