তিন হাজার দুর্গতদের দুয়ারে গেল ‘দুআ’

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জুন ২৫ ২০২২, ২৩:২১

শতাব্দির ভয়াবহ বন্যায় বিপর্যস্ত সিলেট-সুনামগঞ্জের দুর্গত এলাকার তিন হাজার পরিবারে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে মননশীল তারুণ্যের টিম ‘দুঃসময়ে আমরা’ [দুআ]। এরমধ্যে বানভাসি দুই হাজার পরিবারকে খাদ্যসহায়তা ও এক হাজার পরিবারকে পোশাক প্রদান করেছে টিম।

পাঁচ শতাধিক পরিবার পেয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, বাকিরা শুকনো খাবার এবং একহাজার নারী-পুরুষ ও শিশুর হাতে পৌঁছে গেছে নতুন কাপড়, জামা-জুতো।

চারধাপে দুই জেলার ১৪ উপজেলার ২৬টি ইউনিয়ন দুআ’র মানবিক সহায়তার আওতায় আসে। উপজেলাগুলো হল সিলেটের সদর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানীগঞ্জ, বিশ্বনাথ, বালাগঞ্জ, ওসমানীনগর, জৈন্তাপুর, দক্ষিণ সুরমা এবং সুনামগঞ্জের সদর, শান্তিগঞ্জ, দিরাই, ছাতক, দোয়ারাবাজার ও জগন্নাথপুর উপজেলা। চতুর্থ ধাপের খাদ্যসহায়তা ও পোশাক বিতরণ সম্পন্ন হয় ২৫ জুন, তৃতীয় ধাপ ২৪ জুন, দ্বিতীয় ধাপ ২২ জুন ও প্রথম ধাপ ১৯ জুন।

দুর্গত এলাকায় দুআ’র মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে টিমে সমন্বয়ক ছিলেন সাংবাদিক নোমান বিন আরমান, ব্যবস্থাপনায় ছিলেন মনসুর আহমদ, মজদুদ আহমদ রাফিদ, আবু বকর মোহাম্মদ, নাওয়াজ মারজান, কে. আই ফেরদৌস, শেখ এনাম, হুসাইন মুহাম্মদ ফাহিম, আদিব আহমদ, নুহ বিন হুসাইন, কবির আহমদ খান, মাহবুব খান, আবু সাঈদ ইসহাক, সায়্যিদ মুজাদ্দিদ, সৈয়দ ফরহাদ, আহমদ উল্লাহ রাইয়ান ও ফয়সল আহমদ শরিফ।

স্বেচ্ছাসেবক ছিলেন আফফান খলিল, সজরুল ইসলাম, তাজুল ইসলাম, মামুনুর রশীদ, রায়হান আহমদ, মারজান আহমদ, আশরাফ আহমদ, ইমদাদুল হক্ব সায়েম, আব্দুল ওয়াহিদ রাহিদসহ অনেকে।

ত্রাণ নিয়ে দুর্গত মানুষের ঘরে ঘরে যাচ্ছে দুআ’র স্বেচ্ছাসেবীরা

৫ শতাধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের প্যাকে ছিলো ১ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, আলু, পেঁয়াজ, লবণ ও রসুন। শুকনো খাবারের প্যাকে ছিলো চিড়া, মুড়ি, বিস্কুট, কেক, খেজুর, গুড়, খাবার স্যালাইন, মোমবাতি, ম্যাচ। এছাড়া অসুস্থদের মধ্যে জ্বর, সর্দি ও পানিবাহিত রোগের ঔষধ বিতরণ করা হয়।

দুআ’র এই প্রজেক্ট বাস্তবায়নে দেশি-প্রবাসী মানুষের সার্বিক সহায়তার পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থা হিসেবে পাশে ছিল সিরাত মিডিয়া, ফেনী জেলা হিফজ মাদরাসা পরিষদ ও শায়খে ভেড়াখালী রাহ. ফাউন্ডেশন।

সুনামগঞ্জ জেলায় ইউনিয়নভিত্তিক প্যাক পৌঁছানোর কো-অর্ডিনেটর ছিলেন সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের মাওলানা তাজুল ইসলাম হাবিবী, লক্ষণশ্রী ইউনিয়নের আহমেদ ফয়েজ সায়েম, মোহনপুর ইউনিয়নের আবু ফয়েজ, মোল্লাপাড়া ইউনিয়নের হুসাইন আহমদ, দুবরাকান্দার মোবারক হোসাইন, ছাতকের ইসলামপুর ইউনিয়নের ফায়যুর রাহমান, চরমহল্লা ইউনিয়নের হাফিজ আহমাদ হারুন, দিরাইর জগদল ইউনিয়নের মুহাম্মদ মাহবুবুল হক, রাজানগর ইউনিয়নের সুফিয়ান তালুকদার, শান্তিগঞ্জের জয়কলস ইউনিয়নের মাওলানা রশিদ আহমদ, আস্তমার আফসর উদ্দিন, পূর্ব পাগলা ইউনিয়নের শামীম আহমদ, পাঁচগাঁওয়ের মাহবুব খান, দরগাপাশা ইউনিয়নের আব্দুর রাহমান জামী, জগন্নাথপুর কলকলিয়া ইউনিয়নের সাইদুল ইসলাম, দোয়ারাবাজারের লক্ষীপুর ইউনিয়নের মহিউদ্দিন।

এছাড়াও সিলেট সদর উপজেলার মোল্লারগাঁও, দক্ষিণ সুরমার সিলাম, জৈন্তাপুরের নিজপাট, কোম্পানীগঞ্জের দক্ষিণ রনিখাইল, গোয়াইনঘাটের, রুস্তমপুর, ডৌবাড়ী, হাকুরবাজার, বিশ্বনাথের লামাকাজী, বালাগঞ্জের গহরপুর ও ওসমানীনগরে খাদ্যসহায়তা পাঠানো হয়।