ছাতকে আবুল কালাম হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

আগস্ট ২৮ ২০২০, ২২:২৮

ছাতক (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি: সুনামগঞ্জের ছাতকে যুবলীগ নেতা আবুল কালাম হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে এবং খুনিদের দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসির দাবীতে এক মানববন্ধ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। শুক্রবার বেলা ৩টায় উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাঁও ইউনিয়নের জালালপুর-লামা রসুলগঞ্জ সড়কের পীরপুরবাজার এলাকায় এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

দেশবন্ধু শিক্ষা কল্যাণ ট্রাষ্ট, বন্ধুমহল ও এলাকাবাসীর পৃথক ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন, সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের সদস্য, আবদুস সহিদ মুহিত। ইকবাল হোসাইনের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবলীগে সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম আরজ আলী, সুন্দর আ বুলবুল, অবসর প্রাপ্ত সাবেক বিজিবি সদস্য আব্দুল গফুর, টি এম রায়হান, তাহের আহমদ চৌধুরী, সদরুল আমীন সোহান, জুবের আহমদ, আজাদুল ইসলাম, মখলিছুর রহমান, মুফতি মাওলানা এখলাসুর রহমান সিদ্দিকী, ইউপি সদস্য আনোয়ার  ও রাজন আহমদ, সাবেক মেম্বার শহিদ আহমদ, শায়েস্তা হোসেন, পলাশ, আমিরুল, সাজ্জাদুর রহমান, সুমেল আহমদ, অশরাফ আহমদ, আনোয়ার প্রমুখ। এসময় এলাকার বিভিন্ন গ্রামের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ছাত্রলীগসহ পাঁচ শতাধিক লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, পীরপুর গ্রামের মৃত ছমির আলীর ছেলে আবুল কালামকে যারা নির্মম ভাবে দিনে-দুপুরে হত্যা করেছে তাদেরকে দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্ঠান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান। বক্তারা আরও বলেন, হত্যাকান্ডের পর স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে খুনি নুর আলী ও শাহ আলমকে তাৎক্ষনিক আটক করে পুলিশে দেয়া হলেও আর কোন আসামীকে গ্রেফতার করা হয়নি। থানা পুলিশ চিহৃিত খুনিদের গ্রেফতার করতে ব্যর্থ হলে স্থানীয় জনতার সহযোগিতা নেয়ার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে আহবান জানান বক্তারা।

উল্লেখ্য, গেল ২৪ আগষ্ট বেলা দেড়টার দিকে পীরপুর উত্তরপাড়া গ্রামে রহিম উদ্দিনের পুত্র স্কুল ছাত্র ফাহিম বাড়ির আঙ্গিনায় বাইসাইকেল চালাতে গিয়ে একই বাড়ির মৃত জমসেদ আলীর ছেলে নুর আলী তাকে মারপিট করে। খবর পেয়ে ফাহিমের চাচা আবুল কালাম বাড়িতে যাওয়ার পথে নূর আলী ও তার সহোদররা তাকে রাস্তা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। এবং একটি ঘরে আটকে রেখে তাকে বেধড়ক পিটিয়ে হত্যা করে। এঘটনার পর স্থানীয় জনতা ধাওয়া করে নূর আলী ও শাহ আলম নামের দু’জনকে আটক করে পুলিশে দেয়। পরদিন নিহতের সহোদর জামাল মিয়া বাদী হয়ে ছাতক থানায় একটি হত্যা মামলা (নং-২৮) দায়ের করেন।