চৌদ্দগ্রামে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রী ধর্ষণ; ধর্ষকের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ জনতা

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মার্চ ১৬ ২০১৯, ১৩:২৯

শাহীন বিন শফিক, কুমিল্লা প্রতিনিধি: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তাওহীদা ইসলাম প্রিয়া (৮) নামে তৃতীয় শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মাটিতে ফুঁতে রেখেছে একই বাড়ির বাপ্পি (২১) ও তার ভাগিনা মিজান (২০)। এ ঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে স্কুল ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করে এবং ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ জনকে আটক করে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, শুক্রবার দুপুরের পর থেকে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনের একমাত্র মেয়ে তাওহীদা ইসলাম প্রিয়া নিখোঁজ হয়। স্বজনরা খোঁজাখুজি করে না পেয়ে একই দিন সন্ধার পর থেকে এলাকায় মাইকিং করে। কিন্তু নিখোঁজ ঐ ছাত্রীর কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।

শনিবার সকাল সাতটার সময় বাড়ির পাশের খালের পাড়ে গিয়ে একই এলাকার নজীর আহমদ নিখোঁজ প্রিয়ার কাঁথা মোড়ানো অবস্থায় নিথর দেহ দেখতে পেয়ে চিৎকার দিলে স্থানীয়রা জড়ো হয় এবং পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন, লাশ উদ্ধার এবং লাশের ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেন এবং ধর্ষণ ও হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে পাশের বাড়ির জাকির হোসেনের ছেলে মাঈন উদ্দীন বাপ্পি ও আবুল কালামের ছেলে মিজানুর রহমানসহ পাঁচ জনকে আটক করেছে।

এদিকে শিশু প্রিয়ার ধর্ষণের খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ জনতা অভিযুক্ত বাপ্পি ও মিজানের বাড়ি-ঘর অগ্নি সংযোগ করে জ্বালিয়ে দেয়।