গ্যাস্ট্রাইটিসের সমস্যা: প্রতিরোধ এবং চিকিৎসা

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুলাই ০৪ ২০২১, ১৮:২৭

গ্যাস্ট্রাইটিস আজকাল রোগীদের খুব কমন সমস্যা হিসেবে দেখা যাচ্ছে। সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা না হলে হতে পারে দীর্ঘমেয়াদী জটিলতা। গ্যাস্ট্রাইটিস রোগের উপসর্গ: * পেটের বামপাশে ব্যথা * বুক জ্বালাপোড়া * খাবারে অরুচি * পেট জ্বালাপোড়া * পেট ফেঁপে থাকা * মাথা ঘুরানো * বমি বমি ভাব * অল্প খাবারের পর পেট ভরে গেছে মনে হওয়া * গ্যাস্ট্রিক আলসারের সবচেয়ে অপরিচিত উপসর্গ হচ্ছে খাবার খাওয়ার চাহিদা বেড়ে যাওয়া।

গ্যাস্ট্রাইটিস রোগের কারণ জেনে নিন- অনিয়মিত খাওয়া: অনিয়মিত খাবার খাওয়া গ্যাস্ট্রাইটিস এর অন্যতম মূল কারণ। খাবার অনিয়মিত খেলে কিংবা দুই বেলার খাবারের মাঝে দীর্ঘ বিরতি থাকলে হাইড্রোক্লোরিক এসিডের ক্ষরণ বেড়ে গিয়ে গ্যাস্ট্রাইটিস হয়ে যায়। তাই নিয়মিত খাবার গ্রহণ করা, সময়ের ব্যবধান ঠিক রাখা, কোনো বেলা না খেয়ে থাকা পরিহার করা- এসব বিধি মেনে জীবন যাপন করতে পারলে খুব সহজেই এসব সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।

ভাজা-পোড়া খাবার: গ্যাস্ট্রাইটিস রোগের আরো একটি বিশেষ কারণ হলো তেলে ভাজা খাবার কিংবা অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার খাওয়া। তেলের খাবার হাইড্রোক্লোরিক এসিডের ক্ষরণ বহুগুণে বাড়িয়ে দেয়। অনেকেই তেলে ভাজা খাবার খুব পছন্দ করেন। কেউ কেউ খুব বেশি ভাজা পোড়া খাবার খেয়ে থাকেন। বাড়িতে কিংবা বাইরে এসব খাবার খাওয়া কখনোই স্বাস্থ্যসম্মত নয়। এসব খাবার অতিরিক্ত খেলে খুব দ্রুতই যে কেউ গ্যাস্ট্রিকের এসব সমস্যায় আক্রান্ত হতে পারেন। বিশেষ করে বাইরে, খোলা বাজারে, রাস্তায় এসব ভাজা-পোড়া খাবার ডায়রিয়ার কারণ হতে পারে। যারা সচেতন থাকতে চান তারা এসব খাবার এড়িয়ে যাবেন এবং সেই সাথে চেষ্টা করবেন বাড়িতেও ভাজা-পোড়া খাবার না খাওয়ার অভ্যাস করা। কারণ এটি শুধু গ্যাস্ট্রাইটিসই নয়, শরীরের নানারকম রোগের কারণ হতে পারে।

গ্যাস্ট্রাইটিস প্রতিরোধে পরামর্শ: * নিয়মিত খাবার খান, বেশি বেশি পানি পান করুন। * রাত্রে খাবারে পর ২০-৩০ মিনিট হাঁটাহাঁটি করে ঘুমাতে যান। * সকালে ইসুবগুলের ভূসি ভিজিয়ে পান করুন। এতে করে অতিরিক্ত হাইড্রোক্লোরিক এসিড নিউট্রালাইজড হয়ে যাবে। * সকালে খালি পেটে ২ গ্লাস পানি পান করুন। * দিনে ১৩০ গ্রামের বেশি মাংস খাবেন না। * তেলে ভাজা ও তৈলাক্ত খাবার পরিহার করুন। * একসাথে অতিরিক্ত খাবার গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন। গ্যাস্ট্রাইটিসের জন্য চিকিৎসা : * প্রোটন পাম্প ইনহিবিটরি শ্রেণির মেডিসিনগুলো এসিডিটি থেকে মুক্তি দিতে ভূমিকা রাখে। সেসব ওষুধ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী খেতে হয়। এসব ক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসক রোগীকে প্রয়োজনীয় ড্রাগ দিয়ে চিকিৎসা দেবেন। নিজ থেকে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধের নাম করে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ গ্রহণ থেকে বিরত থাকা উচিত।

ডা. ইসমাইল আজহারী, এমবিবিএস(ঢা:বি), সিএমইউ চিকিৎসক, ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ সি.ই.ও, সেন্টার ফর ক্লিনিক্যাল এক্সিলেন্স এন্ড রিসার্চ