গণকমিশন ইসলামোফোবিয়ায় ভুগছে: তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মে ১২ ২০২২, ০০:৫৭

জঙ্গি অর্থায়ন ও দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টে কাজ করছে এমন অভিযোগ এনে ১১৬ ওয়ায়েজিনের (ধর্মীয় বক্তা) একটি তালিকা দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা দিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সমন্বয়ে গঠিত মৌলবাদী ও সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাস তদন্তে ‘গণকমিশন’। এ ঘটনায় তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে।

আরও পড়ুন: গণকমিশনের তালিকায় ১১৬ ধর্মীয় আলোচকের নাম; আমীরে হেফাজতের হুঁশিয়ারী

বৃহস্পতিবার (১২ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তাহাফফুজে খতমে নবুওয়ত বাংলাদেশের সভাপতি মাওলানা ইয়াহিয়া ও মহাসচিব মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী এসব কথা বলেন।

নেতৃদ্বয় বলেন, গণজাগরণ মঞ্চের এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য এবং ইসলাম বিদ্বেষি অপতৎপরতা বাড়াতে দুর্ণীতি দমন কমিশনে ১১৬ জন আলেমের বিরুদ্ধে গণকমিশন দায়ের করা অভিযোগ একটি স্পষ্ট চক্রান্ত। তারা শাহবাগী আন্দোলনের মৃত লাশ নিয়ে অপরাজনীতি করছে। যা এদেশবাসী কখনোও সফল হতে দিবে না। আমরা দেশবরেণ্য উলামায়ে কেরামের নামে মিথ্যা অপবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

তারা বলেন, ঘাদানিকের সমন্বয়ে গঠিত তথাকথিত গণকমিশনের করা অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, বানোয়াট এবং মিথ্যা তথ্যে ভরপুর, এটি সমগ্র দেশবাসীর সামনে আজ দিবালোকের ন্যায় পরিষ্কার। শাহবাগী এই সংগঠন প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই নানাভাবে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। সর্বশেষ তারা দেশবরেণ্য ওলামা-মাশায়েখ এবং ইসলামী আলোচকগণের এ তালিকা প্রকাশ করে চরম ধৃষ্টতা প্রদর্শন করেছে।

তারা আরো বলেন, তথাকথিত খোদাদ্রোহী এই সংগঠনটি বরাবরের মতোই নিজেদের ইসলাম বিদ্বেষী চেহারা জাতির সামনে তুলে ধরেছে। এবার দেশবরেণ্য ইসলামী আলোচকদের নামে অমূলক এবং ভিত্তিহীন অভিযোগ করে গণকমিশনের দায়িত্বশীলরা জাতীর সামনে নিজেদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করলো। বাস্তবতা বিবর্জিত এসব কথাবার্তা বলে আজ তারা জাতির সামনে চরম উপহাসের পাত্রে পরিণত হয়েছে। তারা মূলত ইসলামোফোবিয়ায় ভূগছে।

নেতৃদ্বয় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ওয়াজ মাহফিল শান্তি-সমৃদ্ধি ও আদর্শ সমাজ গঠন ও সমাজ সংস্কারের উত্তম মাধ্যম। এর মাধ্যমে মানুষকে ইহকালীন ও পরকালীন কল্যাণের পথনির্দেশ করা হয়। সমাজের সকল অনাচার, অন্যায় এবং ভুল থেকে মানুষকে বিরত রাখা হয়। ইসলামী আলোচকগণ ধর্মের বিশুদ্ধ বার্তা মানুষের দ্বারেদ্বারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বহুমুখী ত্যাগ তিতিক্ষা করে থাকেন। এসব বানোয়াট বক্তব্যের কারণে দেশে চরম অশান্তি সৃষ্টি হওয়ার আশংকা রয়েছে। অতএব যারা এসব উস্কানীমূলক কর্মকাণ্ড করছে, সরকার যেন তাদের শক্ত হাতে প্রতিহত করে। অন্যথায় ইসলাম প্রিয় তৌহিদী জনতা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।