খালেদ শামিমরা ভিতরে মেনন শামসুরা বাহিরে কেন?

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

সেপ্টেম্বর ২৪ ২০১৯, ১১:৩৭

একুশে জার্নাল: মতামত। ক্যাসিনো আর জোয়ার বিরুদ্ধে তীব্র অভিযান চলছে। ঘটনা এতটাই তীব্র আকার ধারণ করছে যে, এসব অভিযানগুলোর খবর শুনার পর আর কোনো কিছুই মাথায় ঢুকে না। সবসময় একের পর এক সংবাদ মিডিয়াগুলো দিয়ে যাচ্ছে।

মিডিয়াগুলোর অবশ্য খোরাক জোগার হয়েছে ভালই। এখন এদের সংবাদের কাটতি অনেক। অনলাইন পেইজগুলোর লাইক শেয়ারের রমরমা ব্যবসা।

তবে এসব অভিযানে খালেদ শামিমরা ধরা পরলেও ধরা পরছে না মেনন শামসুরা। মেনন সারাজিবন বাম রাজনীতি করা একজন মানুষ। এ দেশের মানুষ বামদেরকে নাস্তিক মনে করলেও সামাজিকভাবে তাদেরকে আদর্শিক মনে করত।তাদেরকে লোভ লালসার উর্ধ্বে মনে করত।

কিন্তু দিলীপ বড়ুয়ার মন্ত্রীত্বের যুগ থেকে তাদের ঘুম ভাঙ্গে। তারা বামদের আসল চরিত্র সম্পর্কে বুঝতে পারে। বামদের লোভ লালসার কথা জানতে পারে। তাদের নীতি নৈতিকতার হালত উপলব্ধি করতে পারে।

ফকিরাপুলের ইয়ংম্যানসের চেয়ারম্যান এ মেনন সাহেব। তিনি জানতেন না এখানে কি হয়? তিনি এখানের ক্যাসিনোর ব্যাপারে কোনো খবর রাখতেন না? তিনি কি এ এলাকার এম পি নন? তাহলে তার অধীনে তার এলাকায় এগুলো চলে কিভাবে? তাকে যদি আমরা ক্যাসিনোর পৃষ্ঠপোষক মনে করি তাহলে কি অনেক ভুল হবে? তাহলে তিনি এখনো গ্রেফতার হচ্ছেন না কেন?

আরেক মহারতি দেখলাম চট্রগ্রামের এম পি শামসুল হককে। এ লোক কতমুন গাজা খেয়েছে সেই জানে। গাজা আর ইয়াবা খোরদের এ সব ক্যাসিনোর পক্ষে সাফাই গেয়ে যাচ্ছে। একবারও ভাবছে না যে, এ ক্যাসিনো কালচার দেশের ভাবমূর্তি কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। দেশের ইতিহাস ঐতিহ্যের সাথে এর আদৌ কোনো মিল আছে কি না।

এক পুলিশের বরাতে জানা গেছে এলোক না কি ১৮০ কোটি টাকা শুধু ক্যাসিনো থেকেই আয় করেছেন। তো তিনি ক্যাসিনো আর জোয়ার পক্ষে লড়বেন না কে লড়বে?

১৮০ কোটি টাকা! একটু ভাবা যায়! একসাথে ৮০ লাখ টকা কয়জন দেখেছেন? তো এতবড় অংকের মাসোহারা পেলে তো একটু নাড়া দিতেই হয়। তবে
তার বড়গুন হল, তিনি যার নুন খেয়েছেন তার গুন করেছেন।

এখন প্রশ্ন হল, এ এম পি কি ক্যাসিনোর পৃষ্ঠপোষকতার কারনে গ্রেফতার হবেন? প্রশাসন কি তার টিকিটি ছুঁতে পারবে? আইন কি তার দরজায় গিয়ে কড়া নাড়তে পারবে?
লেখক: মাহমুদ হাসান
আলেম,লেখক,গবেষক,প্রিন্সিপাল