খাগড়াছড়িতে প্রথম করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে একজনের শরীরে। করোনা ভাইরাস আক্রান্ত ব্যাক্তির নাম এরশাদ চাকমা (৩৫)। নারায়নগঞ্জের অনন্ত ওয়াসিং” নামের একটি গার্মেন্টসে কর্মরত ছিলো সে। তার বাড়ি খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার কামাকোছড়া গ্রামে। এঘটনায় পুরো কামাকোছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে লক ডাউন ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

নারায়নগঞ্জের আদমজি থেকে স্ত্রীসহ ১৭ এপ্রিল রওয়ানা দিয়ে ১৮ এপ্রিল দীঘিনালা এসে পৌছে। পরে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন হিসেবে কামাকোছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রেরণ করা হয়। এ বিদ্যালয়ের ভবনে আরো ১০ জন কোয়ারেন্টাইনে আছেন। এছাড়া এ বিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী ভবনে ৪৫জন অবস্থান করছেন। গত ২২ এপ্রিল তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হলে আজ তা করোনা ভাইরাসের পজেটিভ ধরা পড়ে।

ঘটনার পরপরই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোহাম্মদ কাশেম, নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাঃ তনয় তালুকদার এবং দীঘিনালা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) উত্তম চন্দ্র দেব প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র কামাকোছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছুটে যান।

এ ব্যাপারে করোনা ভাইরাসে পজেটিভ ওই ব্যক্তি জানান, আমি নিজেকে পুরোপুরি সুস্থ মনে করছি। আমার হাঁচি কাশি বা জ্বর এ ধরনের কোন উপসর্গ নেই।

দীঘিনালা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডাঃ তনয় তালুকদার জানান, গত ২২ তারিখ নমুনা সংগ্রহ করা হলে আজ করোনা ভাইরাসের নমুনা পজেটিভ ধরা পড়ে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্লাহ কামাকোছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে লক ডাউন ঘোষণা করে বলেন, এখন থেকে পার্শ্ববর্তী কোন লোকজন বিদ্যালয়ে যেতে পারবে না বলে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রের কোনো লোকজন বাহিরে না যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।