‘ক্রসফায়ারেই’ যদি দিবো তাইলে ৩ লাখ টাকা নিলো কেন?

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুন ৩০ ২০১৯, ২১:২৩

একুশে জার্নাল ডেস্ক : মাদকবিরোধী অভিযানে এরশাদ নগর এলাকা থেকে রেজাউলকে আটক করা হয়। আরও মাদক ব্যবসায়ীদের আটক করতে তাকে সঙ্গে নিয়ে টঙ্গীর বেশ কয়েকটি এলাকায় অভিযান চালানো হয়।

গতকাল শনিবার দুপুর ২টার দিকে গাজীপুরের টঙ্গীর এরশাদ নগরের বটতলা এলাকা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ(ডিবি) রেজাউলকে তুলে নিয়ে যায়। রবিবার দুপুর ১২টার দিকে রনিকে খুঁজতে গাজীপুর শহরের ডিবির কার্যালয়ে যায় তার মা।

সেখানে তার মা তাকে দেখতে পায়। সেসময় একটি সাদা কাগজে তার সই নেওয়া হয় এবং পরে তিন লাখ টাকা রেখে রেজাউলকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। নিহত রেজাউলের মা পারভীন বেগম বলেন এইসব কথা।
এ ব্যাপারে পুলিশের দাবি, রনি মাদক ব্যবসায়ী ছিলেন এবং টাকা নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা। তবে এলাকাবাসী বলছে, রনি একসময় পুলিশের সোর্স ছিলেন।
জানা যায়, রেজাউল ওরফে রনি গাজীপুর সিটি করপোরেশনের টঙ্গীর এরশাদ নগর এলাকার ৩ নম্বর ব্লকের হাফিজুল ইসলামের ছেলে।

এ ব্যাপারে পারভীন বেগম আরও বলেন, ‘ডিবি কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর পুলিশের মূল কার্যালয়ের সামনে থেকে টঙ্গী থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু বকর সিদ্দিক রেজাউলকে আবারও আটক করেন।
তাকে পুলিশের গাড়িতে তুলে টঙ্গী থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে পুলিশ সেখানেও টাকা দাবি করে।

সোমবার সকালে রেজাউলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তার বাবা থানা পুলিশকে পাঁচ লাখ টাকা দেয়। এরপর তিনি বাড়ি ফিরে আসার পর আমরা জানতে পারি ছেলে বন্দুকযুদ্ধে মারা গেছে।

তারা আমাদের কাছে টাকাও নিয়েছে, আবার ছেলেকেও ক্রসফায়ারে দিয়েছে।’তবে টঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ‘রেজাউল ইসলাম ওরফে রনি একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তার নামে ১৪টি মামলা রয়েছে।
অভিযানে নামে পুলিশ। ১৫ থেকে ২০ জন সন্ত্রাসী রাত সোয়া ৩টায় রেজাউলকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।

এরই এক পর্যায়ে রেজাউল গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। এসময় পুলিশের দুই কর্মকর্তাও আহত হন।’নিহত রেজাউল ওরফে রনির ব্যাপারে স্থানীয়রা বিভিন্ন রকম তথ্য দিয়েছেন। অনেকে বলছেন, রেজাউল মাদক ব্যবসায়ী এবং মাদকসেবী।
আবার অনেকে বলছেন, ডিবি পুলিশের সোর্স হিসেবে এলাকায় রেজাউলের পরিচিতি রয়েছে এ ব্যাপারে টঙ্গী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হাসানুজ্জামান জানান, ‘রেজাউলের বিরুদ্ধে ১৪টি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে ৮টি মাদক মামলা এবং ৪টি হত্যা মামলা।’
আবার বলছে, সে নাকি পুলিশের সোর্সও ছিল।’টাকা নেওয়ার অভিযোগের ব্যাপারে টঙ্গী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘টাকা নেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা।

নিহত রেজাউলের মায়ের অভিযোগের ব্যাপারে গাজীপুর জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমীর হোসেন বলেন, ‘রেজাউলকে ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেনি।