কোরআনের রঙে জীবন রাঙাতে হবে

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মে ০৩ ২০২০, ২২:১৪

।। মুহাম্মদ ইমদাদুল হক ফয়েজী ।।

মহিমান্বিত রমজান মাসে মহান আল্লাহ তায়ালা মহাগ্রন্থ আল কোরআন নাযিল করেছেন। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- ‘রমজান মাস, এতে কোরআন নাযিল করা হয়েছে মানুষের হেদায়াতের জন্য এবং হেদায়াতের স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্যাসত্যের পার্থক্যকারীরূপে। কাজেই তোমাদের মধ্যে যে এ মাস পাবে সে যেন এ মাসে সিয়াম সাধন করে…’ (সুরা বাকারাহ : ১৮৫)

রাসুলুল্লাহ (সা.) এর জীবদ্দশায় প্রতিটি রমজান মাসে রাতের বেলা জিবরাঈল (আ.) নবিজি (সা.) এর কাছে আসতেন, কোরআন তেলাওয়াত করতেন, রাসুল (সা.) শুনতেন। আবার নবিজি (সা.) তেলাওয়াত করতেন, জিবরাঈল (আ.) শুনতেন।

কোরআন নাযিলের এ মাসে ধরণীর পূর্ব থেকে পশ্চিম, উত্তর থেকে দক্ষিণ সর্বত্র সর্বস্তরের মুমিনগণ কোরআন তেলাওয়াত শিখা-শিখানো, কোরআনের মর্মকথা বুঝা-বুঝানো এবং কুরআনের আলোকে জীবন ও সমাজ সাজানোর কাজে অপরাপর মাসের তুলনায় অধিক মনযোগী হন। পুণ্যময় এ কাজে আমাদের সকলকে অংশগ্রহণ করতে হবে। নিজেকে, পরিবারের সকল সদস্যকে, পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনসহ প্রতিটি মুমিন ভাই-বোনকে শুদ্ধভাবে কোরআন কারিম তিলাওয়াতে সক্ষম করতে সচেষ্ট হতে হবে৷ বিশেষত, রমজান মাসে এটিকে আমাদের মিশন হিসেবে গ্রহণ করতে হবে।

সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ ঐশীগ্রন্থ আল কোরআন এবং মহিমান্বিত রমজানুল মোবারক এর অন্যতম দাবিও এটি আমাদের প্রতি। মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন- ‘তোমরা ধীরে ধীরে বিশুদ্ধভাবে কোরআন আবৃত্তি করো।’ (সুরা মুজ্জাম্মিল : ৪)

অপরদিকে মহৎ এ কাজে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আমরা হয়ে যাবো উম্মতের শ্রেষ্ঠ মানুষ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের মধ্যে উত্তম ব্যক্তি সেই, যে কোরআন শিক্ষা করে এবং অপরকে শিক্ষা দেয়’। (বোখারি)

আসুন, কোরআনের মাসে কোরআনকে আমরা নিত্যসঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করি। কোরআনের রঙে জীবন রাঙাই। কোরআনের সুরভিতে মুখরিত হোক আমাদের রমজান, আমাদের জীবন। কোরআনের আলো জ্বলে ওঠুক সবার ঘরে ঘরে। উদ্ভাসিত হোক পুরো বসুন্ধরা।

লেখক : আলেম, মুফতি, প্রবন্ধকার।