কোনদিন বিএনপি’র সমর্থক ছিলাম না ; ড.কামাল হোসেন

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ০৪ ২০১৯, ২২:৪০

‘কোনোদিন বিএনপির সমর্থক ছিলেন না’ বলে জানিয়েছেন ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের’ প্রধান উদ্যোক্তা গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন।

শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জাতীয় সরকারের অপরিহার্যতা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)।

এদিন টানা ২৪ মিনিটের বক্তব্যে একটি বারের জন্যও ড. কামাল হোসেন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করেননি বরং প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেছেন, ‘আমি কোনোদিন বিএনপির সমর্থক ছিলাম না।’

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘এই যে ক্যাসিনো, এই ক্যাসিনো যে এই আকারে আছে, এটা কী করে হলো? মানে এটা কী করে ভাববেন যে, সব কিছুই…বিএনপি করে গেছে। আমি তো কোনোদিন বিএনপির সমর্থক ওইভাবে ছিলাম না। আমি বিএনপির বিরোধিতা করে আসছি। তো কথা হল যে, বিএনপিই সব করেছে…কিন্তু গত ১০ বছর তো বিএনপি ছিল না। এখন এগুলো নিয়ে বিএনপিকে দোষ দেওয়া যায় কি? ’

‘যায় হয়তো! গত ১০ বছরে যেসব অসম্ভব কাজ তারা (আওয়ামী লীগ) করেছে, দশ বছরে দেশে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার ক্রেটিড তারা দিতে চায় বিএনপিকে। বিএনপি অতীতে অনেক কিছু করতে পারে। কিন্তু গত দশ বছর ক্ষমতায় না থেকে সব কিছু তারা করেছে, এটা বলা কী ঠিক। সুতরাং আমাদের কিছুটা বুঝতে হবে এ অভিযোগটার গ্রহণযোগ্যতা নাই’— বলেন ড. কামাল হোসেন।

সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘দেশের অবস্থা নিয়ে সবাই উদ্বিগ্ন। আমি তো মনে করি উদ্বিগ্ন না হওয়ার কথা না। এমনকি সরকারি দল যারা করেন, তাদের মধ্যে অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করছেন।’

ক্ষমতাসীনরা দেশের শাসন ব্যবস্থাকে নষ্ট করছে মন্তব্য করেন ড. কামাল বলেন, ‘ভোট হতে দেননি। ২৯-৩০ ডিসেম্বর কেউ ভোট দিয়েছিলেন? আমি একজনও খুঁজে পাচ্ছি না, যিনি ভোট দিয়েছিলেন। আপনারা পেলে তার ফোন নম্বর আমাকে দেবেন। অনেকে আমাকে বলেছেন, ইলেকশন হয়েছে কিনা, তারও তারা জানেন না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আজকের জুম্মার দিন, আপনারা যেভাবে কথা শুনছেন এবং শুনে মাথা নাড়াচ্ছেন, আমি বিশ্বাস করি, আপনাদের মধ্যে সেই ঐকমত্য আছে, দেশকে বাঁচাতে হবে।’

গণফোরাম সভাপতি আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, উচিত কথা যেগুলো বলা হয়েছে, সেগুলো আপনারা প্রত্যক্ষদর্শী হিসেবে দেখছেন। দুর্নীতি কোন জায়গায় চলে গেছে? অর্থনীতি কীভাবে ধ্বংস হচ্ছে, দ্রব্যমূল্যের কী পরিমাণ ঊর্ধ্বগতি; বিশেষ করে ব্যাংকিং সিস্টেমকে যেখানে নিয়ে আসা হয়েছে—এসব নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। এতে আরও ক্ষতি হবে।’

পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রসঙ্গ টেনে ড. কামাল বলেন, ‘এই যে রেকর্ড পরিমাণ টাকা বাইরে যাচ্ছে, কারা পাঠাচ্ছে? যাদের দেশপ্রেম থাকবে, দেশের প্রতি আস্থা থাকবে, তারা তো এভাবে বিদেশে টাকা পাঠাবে না। এগুলো তদন্ত হওয়া দরকার। সরকারের যদি অনুমতি না থাকে, তাহলে মানুষ এভাবে বাইরে টাকা পাঠাতে পারে না। এই লোকগুলো হাতেগোনা।