কুলাউড়া দক্ষিণ বাজার সড়কের বেহাল দশা: টেন্ডার হলেও কাউন্সিলর জানেন না ঠিকাদার কে

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

আগস্ট ২৭ ২০২০, ১৬:৩৭

মারজান আহমদ, কুলাউড়া (মৌলভীবাজার) প্রতিনিধি:

কুলাউড়া দেশের একটি এ গ্রেড এর পৌরসভা। শহরবাসী সুবিধার্থে পৌর কর্তৃপক্ষ অনেকগুলো ভালো উদ্যোগ নিলেও নেই বর্জ্য নিষ্কাশনের আধুনিক ও বিজ্ঞানসম্মত সুষ্ঠু ব্যবস্থা। অপরিকল্পিত উন্নয়ন প্রক্রিয়া বিক্ষিপ্ত ভাবে গড়ে উঠেছে বর্জ্য ফেলার স্থান।

এদিকে শহরের অতিব্যস্ত দক্ষিণ বাজার সড়ক কুলাউড়া হইতে নবাবগঞ্জ বাজার হয় সিলেট যাওয়ার একটি রাস্তা। আর এই রাস্তার পাশে রয়েছে কুলাউড়া দক্ষিণ বাজারের সবজি এবং মাছের আরৎ। আর প্রতিদিন সকালে বসে কাঁচা বাজার কাঁচা বাজার কে কেন্দ্র করে প্রতিদিন রাস্তার উপর প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য নিক্ষিপ্ত হচ্ছে।

বর্জ্য অপসারণে ব্যবস্থা অত্যন্ত নাজুক থাকার কারণে বর্জ্য পদার্থ কে রাস্তার পাশে রাখা হয় এবং তা পচে গলে বাতাস দূষিত করে।
এমন পরিস্থিতিতে সড়কের পাশে অবস্থিত বাশিরুল হোসেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নানা রোগ জীবাণু ঝুঁকিতে পড়তে হয়।

এখানে সিএনজি অটো গাড়ি গুলো স্ট্যান্ড থাকায় প্রায় সব সময় যানজট লেগেই থাকে। ফুটপাত না থাকায় সাধারণ পথচারী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
পানি নিষ্কাশনের জন্য ব্যবহৃত ড্রেনেজ ব্যবস্থা আবর্জনা পূর্ণ হয়ে পড়ায় সড়কের পাশে পানি জমে থাকে ।
অল্প বৃষ্টি হলে তিন থেকে পাঁচ ইঞ্চি পরিমাণ পানি জমে দুর্গন্ধযুক্ত দূষিত পানির উপর দিয়ে হেঁটে রাস্তা পার হতে হয়।
এতে ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়েন ।
পানি জমে থাকায় তাদের ব্যবসা ক্রেতা বিমুখ হয়ে পড়ছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি অপরিকল্পিত বর্জ্য নিষ্কাশনের কারণেই এই দুর্দশা।

স্থানীয়রা অভিযোগ করে প্রতিবেদককে জানান স্থানীয় কাউন্সিলর শামসুল ইসলাম এগুলো দেখভাল করেন না। তিনি হস্তক্ষেপ করলে এসব সমস্যার সমাধান করা যেত তা নিয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন জয়পাশা দিপু চৌধুরী কাজের টেন্ডার পেয়েছে। এবং দিপু চৌধুরী আট থেকে দশ মাস হয়ে গেলেও কাজ শুরু করেন না ।
এ বিষয়ে দিপু চৌধুরীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমি কোন কাজের টেন্ডার পাইনি এবং কাউন্সিলর জানেন না টেন্ডার কে পেয়েছে।
এই দুর্দশা থেকে ব্যবসায়ীরা মুক্তি চেয়েছেন । ব্যবসায়ীরা বলেন, আমাদের দাবি অতিসত্বর কাউন্সিলর সাহেব তাদের এই সমস্যা আমলে নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব রাস্তার ড্রেনেজ ব্যবস্থা উন্নত করবেন ।এবং ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা কুলাউড়া পৌরসভার মেয়রের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
যাতে তারা সুন্দরভাবে বেঁচে থাকতে পারেন এবং এখানে যারা শিক্ষার্থী আছে তাদেরকে সুন্দরভাবে বাঁচার অধিকার দেয়া হয়।