কুমিল্লার বন্ধ মাদরাসা খুলছে কাল: প্রশাসনের দুঃখ প্রকাশ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

অক্টোবর ২১ ২০২০, ২৩:১১

কুমিল্লার মুরাদনগরে জাতীয় সংগীতের সুর দিয়ে ইসলামী সংগীত (হামদ) পরিবেশনের অভিযোগে বন্ধ করে দেয়া ‘মাদরাসায়ে দারুল কুরআন আল আরাবিয়্যাহ’ খুলছে আগামীকাল। উপজেলা প্রশাসন মাদরাসা খোলার অনুমতি প্রদান করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মদ নাজিবুল্লাহ আফসারী।

আজ বুধবার (২১ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় ইউএনও অফিসে মুরাদনগর উপজেলা কওমি মাদরাসা সংগঠনের নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে এক মতবিনিময় সভা হয়। সভায় কওমি উলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি দ্বীন মোহাম্মদ আশরাফ ইউএনওকে বুঝিয়ে বললে তিনি আগামীকাল থেকে মাদরাসা খোলার বিষয়ে সম্মতি প্রকাশ করেন।

এ বিষয়ে মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মদ নাজিবুল্লাহ আফসারী বলেন, আজ মুরাদনগর উলামা পরিষদের সভাপতি মুফতি দ্বীন মুহাম্মদ আশরাফ এর নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল যান মুরাদনগর ইউএনও অফিসে। সেখানে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়। সে সময় নির্বাহী অফিসার বলেন, বাংলাদেশে মাদরাসার শিক্ষার অনুমোদনের জন্য আলাদা বোর্ড রয়েছে। যার নাম বেফাক। সেটা আমার জানা ছিলো না। এজন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি। আগামীকাল থেকে মাদরাসার কার্যক্রম চালু করতে আর কোনো বাধা নেই। আপনারা মাদরাসার কার্যক্রম কাল থেকে ধারাবাহিকভাবে শুরু করুন। বিষয়টি জামিয়া ইসলামিয়া মুজাফফরুল উলুম মাদরাসার মুহতামিম মুফতি আমজাদ হোসাইনও নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে মাদরাসার প্রিন্সিপাল মাওলানা মোহাম্মাদ নাজিবুল্লাহ আফসারী জাতীয় সংগীতের সুরে হামদ পরিবেশনের জন্য এক ভিডিও বার্তায় ক্ষমা চেয়েছেন। এরপর আলেমরা মাদরাসা খোলার জন্য প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। গত রোববার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার সিদ্ধেশ্বরী এলাকার এ মাদ্রাসার কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো।

মাদরাসাটি খোলার বিষয়ে বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশ এর ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা সমূহের সর্বোচ্চ অথরিটি ‘আল-হাইয়াতুল উলিয়া-লিল-জামিয়াতিল কওমিয়া বাংলাদেশ’ এর চেয়ারম্যান আল্লামা মাহমুদুল হাসান ও বেফাকের ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি মাওলানা মাহফুজুল হক তদারকি করেছেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য যে, কুমিল্লার সিদ্ধেশ্বরী দারুল কোরআন আল আরাবিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম নাজিবুল্লাহ আফসারী জাতীয় সংগীতের সুর ব্যবহার করে একটি ইসলামী সংগীত পরিবেশনা করে তার নিজস্ব ফেসবুক ও ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেন। এতে বিষয়টি কর্তৃপক্ষসহ গণমাধ্যম এবং স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর হয়। এ সময় মাদরাসা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে মাদরাসার কার্যক্রম সাময়িক বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।