কুড়িগ্রামে নৌরুটে ভাড়া কমানো, নৌ-এম্বুল্যান্সের দাবিতে গণকমিটির স্মারকলিপি প্রদান

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

আগস্ট ২৫ ২০২০, ২৩:৩০

রোকন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের চিলমারীর ব্রহ্মপুত্র নদের বামতীরে একাত্তরের মুক্তাঞ্চল খ্যাত উপজেলা রৌমারী ও রাজিবপুর কুড়িগ্রাম জেলার মুল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন। প্রতিনিয়ত জেলায় দাপ্তরিক কাজসহ কোট-কাচারী ব্যবসা-বানিজ্য ও মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসার জন্য দরিদ্রতম এই দুই উপজেলা বাসিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উত্তাল ব্রহ্মপুত্র পার হয়ে সার্বক্ষণিক আসা-যাওয়া করতে হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অাজ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। অনেক ক্ষেত্রে ভালো অগ্রগতি হলেও অামরা কুড়িগ্রামবাসী অনেক ক্ষেত্রে পিছিয়ে অাছি।উন্নয়নের প্রথম শর্ত উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্হা।ঢাকা,ময়মনসিংহ,শেরপুর,জামালপুর অাবার রংপুর,গাইবান্ধা,
লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম জেলার লোকজন তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে অল্প সময়ে গন্তব্যে পৌছার জন্য উত্তাল ব্রহ্মপুত্র নদ ইঞ্জিনচালিত নৌকায় বিভিন্ন মালামাল ও যাত্রী পারাপার হয়। যা খুব ঝুঁকিপুর্ণ।স্বাচ্ছন্দে স্বল্প সময়ে এবং অল্প খরচে ব্রহ্মপুত্র নদ পার হওয়ার জন্য- রেল-নৌ,যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটি রৌমারী
নিচের দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য‌ রৌমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আল ইমরান এর মাধ্যমে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসকের নিকট স্মারকলিপি প্রদান করেন। আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় স্মারকলিপি দেওয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-গণকমিটির সভাপতি কেএম শামসুল আলম, সাধারণ সম্পাদক এস,এম,এ মোমেন,নৌ বিষয়ক সম্পাদক কে,এম ফেরদৌস।
দাবি সমুহ নিম্নরুপ:
১। রৌমারী,রাজিবপুর,কর্তিমারী টু চিলমারী,ফকিরের হাট সহ কুড়িগ্রাম জেলায় অবস্হিত সকল ঘাটে যাত্রী ভাড়া করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এর শুরুতেই ৭০টাকার ভাড়া ১০০টাকা নির্ধারণ করেছে। কিন্তু কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা বা সামাজিক দুরুত্ব মানা হয়নি। সরকার বাসভাড়াও
কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।তাই
নৌকা ভাড়া কমানো দরকার।

২। যাত্রীভাড়া ১০০টাকার স্থলে
৫০টাকা এবং মোটর সাইকেল ভাড়া( ৭০/টাকা থেকে কমিয়ে ৪০ টাকা) নির্ধারন করতে হবে।

৩। এ দুই উপজেলায় প্রসূতি মা শিশু ও মুমূর্ষু রোগীদের জীবন রক্ষায় দ্রুত চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার জন্য ব্রহ্মপুত্র নদ পারাপারে নৌ-এম্বুলেন্স সার্ভিস চালু করতে হবে।

৪। যাত্রী সেবার স্বার্থে বর্ণিত ঘাট গুলিতে টয়লেট,নৌকায় ওঠা-নামার জন্য ঝুঁকিহীন সিঁড়ি/মই, যাত্রী সুরক্ষায় লাইফ জ্যাকেট, মজবুত নৌকাসহ দক্ষ মাঝি-মাল্লা দ্বারা পরিচালনার ব্যবস্থা করতে হবে।

৫। প্রতি ঘন্টায় যাত্রী পারাপারের ব্যবস্হা করতে হবে।

উপরোক্ত দাবীসমুহ স্বপ্ল,মধ্যম এবং দীর্ঘ মেয়াদে পরিকল্পনায় যুক্ত করে বাস্তবায়ন করা হলে
রৌমারী, চিলমারী,রাজিবপুর তথা কুড়িগ্রামের আর্থসামাজিক উন্নয়নে ব্যাপক পরিবর্তন সাধিত হবে, ভুক্তভোগী জনগণের দুর্ভোগ পোহাতে হবে না, কল্যাণ হবে,সময় এবং অর্থের ব্যয় সাশ্রয় হবে, সাধারণ মানুষের আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে, তাদের জীবনযাত্রায় ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
এসএম