কাশ্মীরে সংঘর্ষে নিহত ৯

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মে ১৭ ২০১৯, ১৬:৫৩

 

আবির আবরার:

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে সেনাবাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত নয় জন নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবারের ওই সংঘর্ষে নিহতদের মধ্যে তিনজন জইশ-ই-মোহাম্মদ ‘র সদস্য (যাদের একজন পাকিস্তানি কমান্ডার), স্থানীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী দল হিজবুল মুজাহিদিনের দুই সদস্য, দুই ভারতীয় সেনা এবং দুইজন বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার নিহতদের একজন রইস আহমদ দার (৩২) বলে জানান গ্রামবাসীরা।

তারা বলেন, ভারতীয় সেনাবাহিনী একটি বাড়িতে সন্ত্রাসীরা লুকিয়ে আছে সন্দেহে তল্লাশি করতে গিয়ে প্রথমে রইসকে ভেতরে পাঠায়।

কাশ্মীরের গ্রামগুলোতে প্রতিদিনই তল্লাশি অভিযান চলছে এবং গোলাগুলির মধ্যে পড়ে বেসামরিক নাগরিকরা প্রাণ হারাচ্ছেন।

সেনাবাহিনী তল্লাশি অভিযানে বেসামরিক নাগরিকদের ব্যবহার করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে মানবাধিকার সংগঠনগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

সেনাবাহিনী এর আগেও বেসামরিক নাগরিকদের এভাবে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে বলে অভিযোগ গ্রামবাসীদের।

অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের এক মুখপাত্র বলেন, রইস দুই পক্ষের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে মারা গেছেন। তাকে তল্লাশি করতে পাঠানো হয়নি।

সংঘর্ষের প্রতিবাদে স্থানীয় রাজনৈতিক দল ‘দ্য জয়েন্ট রেজিসটেন্স লিয়ারশিপ’ (জেআরএল) শুক্রবার কাশ্মীর জুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়ে।

জেআরএল’র পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, “এমনকি পবিত্র রমজান মাসেও হত্যাকাণ্ড থামছে না। কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ, সশস্ত্র যুবাসহ ভারতীয় সেনাদের রক্ত ঝরেই চলছে।”

গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় ভারতীয় জওয়ানদের গাড়ি বহরে জঙ্গি হামলার পর কাশ্মীরে একদিনে এটাই সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা।

পাকিস্তান ভিত্তিক সশস্ত্র দল জইশ-ই-মোহাম্মদের ওই বোমা হামলায় ৪০ জওয়ান নিহত হয়। তারপর থেকে মুসলমান অধ্যুষিত কাশ্মীরে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পুলওয়ামায় হামলার পর জঙ্গি আক্রমণ প্রতিরোধে সেনাবাহিনীকে ‘অবাধ ক্ষমতা’ দিয়েছেন।