আসিফাকে গণ-ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে উত্তাল ভারত

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

এপ্রিল ১৪ ২০১৮, ০৯:২৯

ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় আট বছরের মুসলিম শিশু আসিফা বানুকে গণধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে এসেছে কলকাতার মানুষ।

শুক্রবার সারা দিন কলকাতার শিক্ষার্থী ও ছাত্রীরা বিক্ষোভ করেছেন। তারা শনিবার রাতভর বিক্ষোভ দেখানোর পরিকল্পনা করেছেন।

শুক্রবার প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, আশুতোষ কলেজ, চারুচন্দ্র কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে আসিফা বানু ধর্ষণ-হত্যার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেন। শ্যামবাজার, মানিকতলা, বাগবাজার, টালিগঞ্জ, কসবা ও যাদবপুরে সন্ধ্যায় মোমবাতি মিছিলে যোগ দেয় স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রতিবাদে শামিল হয় একাধিক রাজনৈতিক দলও।

আসিফা বানু হত্যার প্রতিবাদে বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন এসইউসির ছাত্র-যুব-নারী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের তুলে দিতে গেলে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এসইউসি কর্মীরা।

আজ শনিবার আসিফা ধর্ষণ-হত্যার প্রতিবাদে কর্মসূচি পালিত হবে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী এদিন থেকে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন।

শিক্ষার্থী ও সংস্কৃতি কর্মীদের একাংশ শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ময়দান এলাকার আম্বেদকরের ভাস্কর্যের সামনে থেকে মিছিল করে নন্দন চত্বরে যাবেন।

উল্লেখ্য, গত জানুয়ারিতে জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার রাসানা গ্রামে আসিফাকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনা ঘটে।

এতে নেতৃত্ব দেন এক মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক ও দুই স্পেশাল পুলিশ কর্মকর্তা।

তারা শিশু আসিফাকে এক সপ্তাহ ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন। পরে তাকে পাথর ছুড়ে হত্যার আগে আবারও ধর্ষণ করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন স্থানীয় মন্দিরের তত্ত্বাবধায়ক সাঞ্জি রাম, স্পেশাল পুলিশ কর্মকর্তা দীপক খাজুরিয়া ও সুরেন্দ্র বর্মা, সাঞ্জি রামের বন্ধু পরভেশ কুমার ওরফে মন্নু, রামের নাবালক ভাতিজা ও ছেলে বিশাল জঙ্গোত্র ওরফে শম্মা।

পুলিশের দেয়া ১৫ পৃষ্ঠার এক অভিযোগপত্রে আসিফাকে হত্যার বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হয়।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, গত জানুয়ারিতে কাঠুয়া জেলার রাসানা এলাকায় মুসলিম বাখেরওয়াল সম্প্রদায়ের শিশু আসিফাকে অপহরণ করে এক সপ্তাহ আটকে রেখে ধর্ষণের পর পাথর ছুড়ে হত্যা করা হয়।

আসিফাকে প্রথমবার ধর্ষণের পর তাকে মাদক দিয়ে অজ্ঞান করে রাখা হয়। এর পর পাথর ছুড়ে হত্যার আগে আবারও ধর্ষণ করা হয়।