কাশ্মিরে ৫ ভারতীয় সেনাসহ নিহত ৮ আহত ৯

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মার্চ ০৪ ২০১৯, ০৭:৩২

আবির আবরার: ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের হান্দোয়ারায় মুক্তিকামী বন্দুকধারিদের সঙ্গে সংঘর্ষে নিরাপত্তা বাহিনীর ৫ জওয়ানসহ নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮ জনে পৌঁছেছে। ওই ঘটনায় কমপক্ষে ৯ জন আহত হয়েছেন।

উত্তর কাশ্মিরের কুপওয়ারা জেলার বাবাগান্ড হান্দোয়ারাতে গত (শুক্রবার) রাত থেকে শুরু হওয়া উভয়পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধে এই হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।

সেনা সূত্রে জানা যায়, একটি বাড়িতে দুই মুক্তিকামী বিদ্রোহী লুকিয়ে রয়েছে বলে শুক্রবার খবর আসে। সেই মতো অভিযানে নামে রাজ্য পুলিশের এসওজি, সিআরপি-র ৯২ নম্বর ব্যাটেলিয়ন এবং সেনাবাহিনীর ২২ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের যৌথ বাহিনী। হান্দোয়ারার বাবাগুন্ডে ওই বাড়ির কাছে পৌঁছালে তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে মুক্তিকামী বিদ্রোহীরা।

গুলি বিনিময় চলাকালীন দুই জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যায়। এরপর মরদেহ উদ্ধারে যায় নিরাপত্তা বাহিনী। তখনই ঘটে বিপত্তি। মাটিতে পড়ে থাকা দুই মুক্তিকামীর মধ্যে একজন আচমকা উঠে দাঁড়ায় এবং এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে। এতে জওয়ানরা আহত হন। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাদের মধ্যে চার জনের মৃত্যু হয়। যৌথ বাহিনীর গুলিতে মৃত সেজে শুয়ে থাকা ওই মুক্তিকামীরও মৃত্যু হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্র থেকে জানা যায়। তবে এখনও পর্যন্ত তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

এই অভিযানকে ঘিরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাতে এক স্থানীয় বাসিন্দার মৃত্যু হয়। এ সময় জওয়ানরা ছররা বন্দুক ব্যবহার করলে আহত হন চার স্থানীয় যুবক।

গতকাল (রোববার) সকালে আহত আরও এক জওয়ানের মৃত্যুতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৫ জনে পৌঁছেছে। নিহতদের মধ্যে আধাসামরিক বাহিনী সিআরপিএফের তিন জওয়ান ও দুই পুলিশ সদস্য রয়েছেন। ভয়াবহ ওই সংঘর্ষে দুই মুক্তিকামী নিহত হয়েছে বলে এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া এক বেসামরিক ব্যক্তিও নিহত হয়েছেন।

অন্যদিকে, জম্মু-কাশ্মির প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুঞ্চ ও রাজৌরি জেলায় অতিরিক্ত চারশ’ পৃথক বাঙ্কার নির্মাণ অনুমোদন করেছে। সরকারি এক মুখপাত্র বলেন, সীমান্তের ওপার থেকে গোলাগুলি বর্ষণের জেরে সরকার পুঞ্চ ও রাজৌরিতে দুইশ’ করে মোট চারশ’ বাঙ্কার নির্মাণ অনুমোদন করেছে। আগামী এক মাসের মধ্যেই এসব বাঙ্কার নির্মাণ শেষ হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।সূত্র- পার্সটুডে, রেডিও তেহরান।