কাদের মির্জার ৯ অনুসারী গুলিবিদ্ধ, ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মে ৩০ ২০২১, ০৫:১৮

এম.এস আরমান,নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় প্রতিপক্ষের গুলিতে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার ৯ অনুসারী গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটের সময় বসুরহাট পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটেছে।

তাদের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর গুরুতর অবস্থায় সবুজ,সানি ও কাঞ্চনকে ঢাকায় ও বাকি ৫ জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

হাসপাতালের ডিউটি ডাক্তার জানান, ছররা গুলিতে আহত ৯ জনের মধ্যে ৩ জনকে ঢাকায় ও ৫ জনকে জরুরি বিভাগ থেকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি একজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়।

আহতরা হলেন– পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আহমেদ জিসান (২৩) ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন (৪৭),এমদাদুল হকের ছেলে সওশাদ (৩৫)। সামছুল হকের ছেলে মো. সবুজ (৪০), আবদুল লতিফ দুলালের ছেলে রুহুল আমিন সানি (৩০), মৃত মোস্তফার ছেলে মাঈন উদ্দিন কাঞ্চন (৪২),মোস্তফা মেস্তরীর ছেলে দেলোয়ার হোসেন (২৮), পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের এনামুল হকের ছেলে দেলোয়ার হোসেন সুমন (২৭), চরকাঁকড়ার মোশারেফ হোসেনের ছেলে দিদার (৩৫)।

বসুরহাট পৌরসভা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হামিদ উল্যাহ জানান, ৯নং ওয়ার্ডের কাদের মির্জার অনুসারীরা একত্রিত হয়ে পৌরসভায় যাওয়ার জন্য জড়ো হচ্ছিল। প্রতিপক্ষ উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুবুর রশিদ মঞ্জুর সমর্থকরা বেপরোয়া গুলি করে তাদের লোকজনকে আহত করে।

অন্যদিকে সেতুমন্ত্রীর ভাগিনা মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার কোনো লোক বাসা থেকে বের হয়নি। কাদের মির্জার লোকজন মিছিল করতে গিয়ে নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে শুনেছি।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি জানান, পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডে কাদের মির্জার অনুসারীরা মিছিল করতে চাইলে প্রতিপক্ষরা গুলি চালিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

এ ঘটনায় বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা রাত ৯টায় পৌরসভার নিজ কার্যালয় থেকে তার অনুসারী স্বপন মাহমুদের আইডি থেকে লাইভে এসে আসামীদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন।