কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে প্রয়োজনে লংমার্চ করা হবে : আল্লামা বাবুনগরী

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ফেব্রুয়ারি ২৮ ২০১৯, ১৪:০২

হাবীব আনওয়ার: বর্তমান সময় হচ্ছে ফেতনার সময়।পুরো বাংলাদেশ জুড়ে এখন শুধু ফেতনা আর ফেতনা।নাস্তিক্যবাদ,কাদিয়ানী, কবর পুজারী,বিদয়াত,শিয়াসহ অসংখ্যা ফেতনা।বর্তমান আমাদের দেশে সবচেয়ে বড় ফেতনা হচ্ছে কাদিয়ানী ফেতনা।এরা অভিশাপ্ত।এরা আমাদের নবীকে শেষ নবী মানে না।আমাদের নবী ছা.এরপরে আর কোন নবী দুনিয়াতে আসবেন না।আমাদের নবী ছা.হচ্ছেন শেষ নবী, এটা কুরআনের ৯৯ টি আয়াত ২১০ টি হাদীস দ্বারা প্রমাণিত।এই আকিদা যারা মানবে না, তারা সন্দেহ ছাড়া কাফের।যতবার বলবেন,কাদিয়ানী কাফের ততবার ছওয়াব হবে।

আজ ২৮ ই ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম জমিয়াতুল ফালাহ ময়দানে হেফাজত ইসলাম বাংলাদের উদ্যোগে আয়োজিত দু’দিন ব্যাপী শানে রেসালত সম্মেলনের প্রথম দিনে প্রধান অতিথির আলোচনায় আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম (হাটহাজারী মাদরাসার) সহকারী পরিচালক ও হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন,১৯০১ সালে ইংরেজদের সহযোগিতায় সর্বপ্রথম গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী নিজেকে নবী দাবি করেন।গোলাম আহমাদ কাদিয়ানী ছিলেন ইংরেজদের দালাল।কাদিয়ানীরা নিজেদের নাম পরিবর্তন করে নিজেদের আহমাদিয়া মুসলিম জামাত বলে পরিচয় দেয়।আপনারা ধোকা খাবেন না।খুব সতর্ক থাকবেন।

আল্লামামা বাবুনগরী আরো বলেন, ইসলামী জিহাদ কিয়ামত পর্যন্ত চলবে।যারা জিহাদকে সন্ত্রাস বলে তাদের জিহ্বা কেটে দিতে হবে।কিন্তু এই ভণ্ড গোলাম আহমাদ বলেন, জিহাদ বন্ধ হয়ে গেছে।সে ইংরেজদের খুশি করার জন্য নিজের মনগড়া মাসআলা দিত।

সরকারকে লক্ষ্য করে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণা করতে হবে।এটা ৯০% ভাগ মুসলমানের প্রাণের দাবি।শুধু কাদিয়ানীদের নয়, মন্ত্রী -এমপিদের মাঝে যারা কাদিয়ানীদের সহযোগিতা করে তাদেরও চিহ্নিত করতে হবে।কাদিয়ানীদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়া, মুসলমানদের কবরস্থানে তাদের দাফন করা, তাদের জানাযা পড়া জায়েজ নেই।তাদের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে তা যিনার গুনাহ হবে।সন্তান হলে তা জারজ সন্তান হবে।

হেফাজত মহাসচিব বলেন,কাদিয়ানীরা শুধু মুসলমানদের ঈমানের জন্য নয়, তারা স্বাধীনতার জন্যও হুমকি।কাদিয়ানীদের অমুসলিম ঘোষণার জন্য প্রয়োজনে শাপলা চত্বরে যাওয়া হবে