ওসমানীনগরে স্ত্রীর পরকীয়া দেখে ফেলায় স্বামীকে শশুরবাড়ীতে হত্যা

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মার্চ ১১ ২০২০, ০০:২২

আহমদ মালিক,ওসমানীনগর প্রতিনিধি
সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার পৈলনপুর ইউনিয়নের সাদিখাল তীরবর্তী কারিকোনা গ্রামের ইতিহাসে সম্ভবত এই প্রথম কলংকজনক একটি হত্যা,
স্ত্রীর পরকীয়া দেখে ফেলায় স্বামীকে শশুরবাড়ীতে হত্যা, জেলে সতিন্দ্রকে স্ত্রী সন্ধ্যা রানী দাসের প্রেমিকদের সঙ্গে যৌনসম্পর্ক দেখে ফেলা ও তা মেনে নিতে না পারায় পরিকল্পিত খুন করা হয়। পরে তার স্ত্রী সন্ধ্যা রানী দাসের প্রেমিকরা সতিন্দ্রকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর শরীরে পাথর বেঁধে নদীতে ফেলে দিয়ে লাশ গুম করার চেষ্টা করে বলে জানায় পুলিশ।

পুলিশ জানায়, ঘটনার পরপর তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হল, নিহতের স্ত্রী সন্ধ্যা রানী দাস, সন্ধ্যা রানীর কথিত যৌন সঙ্গী উপজেলার কারিকোনা গ্রামের অতুল দাসের ছেলে স্বপন দাস ও একই ইউপির মোবারকপুর গ্রামের সুশিল দাসের ছেলে গোপাল দাস। তারাই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে এমন তথ্য জানায়।

এর আগে মঙ্গলবার ভোরে নিহত সতিন্দ্রের বড় ভাই সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার কুয়াজপুর ইউপির চকিয়া গ্রামের মৃত নরেন্দ্র দাসের ছেলে রাকেশ দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে ওসমানীনগর থানায় (মামলা নং-০৪) দায়ের করেন।

ওসমানীনগর থানার ওসি (তদন্ত) এসএম মাইন উদ্দিন ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রতন লাল দেব জানান, আসামিরা পুলিশের নিকট হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তি প্রদান করে এবং ঘটনার সঙ্গে আরও কয়েকজন জড়িত রয়েছে বলে জানায়।

এ দিকে গত সোমবার বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ স্বজনদের নিকট হস্তান্তরের পর লাশের সৎকার করা হয়।

প্রসঙ্গত, ওসমানীনগর উপজেলার পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়নের মোবারকপুর গ্রাম সংলগ্ন সাদিখাল নদীতে থেকে রোববার (৮ মার্চ) সজেন্দ্র দাশের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সে সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর উপজেলার চকরিয়া গ্রামের নরেন্দ্র দাশের ছেলে। সজেন্দ্র দাস বিগত ৮ বছর ধরে ওসমানীনগর থানাধীন মোবারকপুর গ্রামের মৃত রাকেশ দাস এর মেয়ে সন্ধ্যা রানী দাস (৩০)-কে বিয়ে করেন।

বিয়ের ২ বছর পর তার শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করে আসছিলেন। তাদের পরিবারে ছেলে সজিব দাস (০৫) ও মেয়ে তন্নি দাস (০৩) নামে দুটি সন্তান রয়েছে। সে এখানে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করত। গত ৮ মার্চ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ওসমানীনগর থানা পুলিশ স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে জানতে পারে সাদীপুর সেতুর পূর্ব পাশে একটি মানুষের মৃত দেহ পানিতে ভাসমান। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃত দেহটি উত্তোলন করে এবং ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।