ওসমানীনগরে ওসির সহযোগিতায় মাদরাসা শিক্ষকের বাড়ি দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

অক্টোবর ১৩ ২০১৯, ২২:১৫

একুশে জার্নাল ডেস্ক: ওসমানীনগরে হতদরিদ্র মাদ্রাসা শিক্ষক মাওলানা আব্বাস আলী ও তার স্বজনদের ‘সাজানো’ মামলায় থানায় আটকে রেখে তার বসতভিটা দখলের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে।

রোববার উপজেলা তাজপুর বাজারে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের উপর এলাকাবাসীর ব্যানারে এই কর্মসূচী পালন করা হয়। মানববন্ধনে দখলদার প্রবাসী মিজান এলাহি ও তার সহযোগী ওসমানীনগর থানার ওসির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।

মানববন্ধনে শিক্ষক আব্বাস আলী লেপাসের স্ত্রী পারভিন বেগম ও তার ৫ শিশু সন্তান, বোন মায়ারুন নেছা, ভাগ্নি রুবি বেগম, ভাইয়ের বউ রুবেনা বেগম, রোকেয়া বেগম, দিলারা বেগম, নাছিমা বেগম এবং স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ইমরান রব্বানীসহ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন চলাকালে শিক্ষক আব্বাসের স্ত্রী পারভিন বেগম বলেন, “আমরা গবির মানুষ, আমাদের বসতভিটা দখলের জন্য প্রবাসী মিজান এলাহি পুলিশের সহযোগিতায় বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় হয়রানি করে আসছে। তাদের ভয়ে দীর্ঘদিন ধরে আমরা বাড়ি ছেড়ে তাজপুর বাজারে বাস করছি। শুক্রবার ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের বসতঘর ভাঙার খবর পেয়ে আমার স্বামী স্বজনদের নিয়ে বাড়িতে যান। ঘর ভাঙচুর করতে দেখে পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই সন্ত্রাসীকে আটক করে। এ সময় লিখিত অভিযোগ দেয়ার কথা বলে আমার স্বামী ও স্বজনদের পুলিশ সাথে নিয়ে যায়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে দুই সন্ত্রাসীকে ছেড়ে দিয়ে আমার স্বামী ও স্বজনদের ২৫ লাখ টাকা চাঁদাবাজী মামলার আসামী দেখিয়ে থানায় আটকে রাখা হয়। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। পরবর্তীতে পুলিশের সহায়তায় আমাদের বসত ঘর মাটিতে গুড়িয়ে দিয়ে মালামাল নিয়ে যাওয়া হয়। এমনকি ঘরে থাকা কুরআন শরীফ ও কিতাবগুলোও অযত্নে বাইরে ফেলে রেখে যায়। আমি এ ঘটনায় মিজান এলাহী ও ওসমানীনগর থানার ওসির শাস্তি দাবী করছি।”

উল্লেখ্য, তাজপুর ইউনিয়নে বড় দিরারাই মাদ্রাসার শিক্ষক পূর্ব রুকনপুর গ্রামের শিক্ষক আব্বাস আলী লেপাসের সাথে তার আত্মীয় প্রবাসী মিজান এলাহীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে ভূমি বিরোধ চলে আসছিলো। এর জেরে ওই শিক্ষক পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে একাধিক সাজানো মামলা দেয়া হয়। এ নিয়ে চলতি বছরের জুন মাসে ওসমানীনগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের অসহায়ত্ব এবং হয়রানির কথা সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেছিলেন শিক্ষক আব্বাস আলী। পাশাপাশি তিনি তার নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন।