এরদোগানের শহরে মেয়র হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

এপ্রিল ০১ ২০১৯, ০৬:৪৩

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের শহর ইস্তানবুলে মেয়র হয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম।

স্থানীয় নির্বাচনে রাজধানী আঙ্কারায় বড় ধরনের পরাজয়ের পর দেশটির সবচেয়ে বড় শহর ইস্তানবুলে অল্পের জন্য জয় পেয়েছে রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের দল একে পার্টি।

তবে নির্বাচনের ফল ঘোষণার আগেই ইস্তানবুলে পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছিলেন এরদোগান। খবর রয়টার্সের।

ইস্তানবুল থেকে এরদোগানের রাজনীতি জীবনের শুরু। এ ছাড়া ১৯৯০ সাল থেকে বেশ কয়েকবার মেয়র হয়েছিলেন তিনি।

এদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজধানীতে পরাজয়ের মাধ্যমে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হলেন এরদোগান।

এরদোগান বিগত ১৬ বছর ধরে শক্তহাতে তার দেশ শাসন করছেন। রোববারের এ নির্বাচন সামনে রেখে গত দুই মাস ধরে তিনি নিরলসভাবে জনসংযোগ চালিয়েছেন। তিনি এ নির্বাচনকে বেঁচে থাকার সম্বল বলে আখ্যায়িত করেছিলেন।

কিন্তু এরদোগানের এ পরিশ্রম ও এরদোগানকে সমর্থন দিয়ে মিডিয়ার প্রচার-প্রসার সব কিছুই ব্যর্থ হয়েছে। তুরস্কের অর্থনৈতিক মন্দা ভোটারদের ওপর ব্যাপকভাবে প্রভাব ফেলেছে বলেই ক্ষমতাসীন দলের পরাজয় ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

তুরস্কের আঙ্কারায় বিরোধীদলীয় পার্টি সিএইপির প্রার্থী মনসুর আব্বাস জয়ী হয়েছেন। তবে ইস্তানবুলে দুই দলের মধ্যে হাডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। এখনও পরিষ্কারভাবে বলা যাচ্ছে না কোন দল জয়ী হবে।

আঙ্কারায় জয় পাওয়ার পর বিরোধীদলীয় নেতা কেমাল কিলিতাশদার আওগালু বলেছেন, জনগণ গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। তাই তারা গণতন্ত্রের পক্ষে ভোট দিয়েছেন।

তবে আঙ্কারায় এরদোগানের ইসলামীভিত্তিক দলটির পরাজয় হলে এটি তার জন্য একটি বড় ধরনের আঘাত হতে পারত।

এ ছাড়া ইস্তানবুলে এরদোগানের দলের জয়-পরাজয় তার কাছে খুব বড় ধরনের বিষয়। কারণ এরদোগানের রাজনীতি জীবনের শুরু এখান থেকেই। এ ছাড়া ১৯৯০ সালে তিনি ইস্তানবুলের মেয়র ছিলেন।

এদিকে গতকাল স্থানীয় সরকার নির্বাচনে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি ভোটার ভোট দেন। সংসদের পাঁচ দলের বাইরে আরও সাত দল লড়েছে এবারের নির্বাচনে।

ভোটে জেতার লড়াইয়ে টিকে থাকতে ক্ষমতাসীন এবং বিরোধী দলগুলো জোট করে নির্বাচন করেছে। নির্বাচনের মাঠ মূলত দুই ভাগে বিভক্ত ছিল। ক্ষমতাসীন জোট ও বিরোধী জোট।