এক দেশ এক দলের ইঙ্গিত দিলেন বিজেপি সভাপতি

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

সেপ্টেম্বর ১৮ ২০১৯, ১৫:৪১

হিন্দিকে ভারতের ‘সর্বজনীন ভাষা’ করার প্রস্তাব করে বিজেপি সভাপতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছিলেন, ‘এক দেশ, এক ভাষা’। এজন্য সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল তাকে।

তবে নিজেদের মিশন থেকে পিছু হটার পাত্র যে তিনি নন, সেটা আবারও জানিয়ে দিলেন অমিত শাহ। এবার গণতন্ত্রের বহুদলীয় সংসদীয় কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তুলে ‘এক দেশ, এক দল’ ব্যবস্থার ইঙ্গিত দিলেন বিজেপি সভাপতি।

মঙ্গলবার দিল্লির ‘অল ইন্ডিয়া ম্যানেজমেন্ট অ্যাসোসিয়েশন’-এর অনুষ্ঠানের তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার ৭০ বছর পরে মানুষের মনে প্রশ্ন জেগেছে, বহুদলীয় সংসদীয় ব্যবস্থা আসলে ব্যর্থ কি না? ওই ব্যবস্থা কি দেশবাসীর লক্ষ্য পূরণ করতে পেরেছে?’

নিজেই এই প্রশ্নের জবাব দিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘মানুষ আশাহত।’ তার দাবি, আঞ্চলিক দলগুলি আঞ্চলিক আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে পারেনি।

আনন্দবাজার জানায়, মূলত দ্বিতীয় ইউপিএ আমলে নীতিপঙ্গুত্ব, দুর্নীতির অভিযোগ এনে অমিত শাহ ওই মন্তব্য করলেও বিরোধীদের অনেকের মত, এই বক্তব্যে যেমন বিজেপির ‘স্বৈরতান্ত্রিক’ মনোভাব স্পষ্ট। ভাষার পর বহুদলীয় ব্যবস্থা নিয়ে বিতর্ক তৈরি করে এতে বেহাল অর্থনীতি থেকে নজর ঘোরানোর কৌশলও রয়েছে।

অমিতের মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে কংগ্রেসের মুখপাত্র আনন্দ শর্মা টুইটারে বলেন, ‘বহুদলীয় গণতন্ত্রকে গুরুত্বহীন করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের মন্তব্য ভয়াবহ এবং সেটা যে-ভাবনার ইঙ্গিত দিচ্ছে, গৃহীত হলে তা ভারতের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোকে সরাসরি আঘাত করবে।’

প্রশ্ন উঠেছে অমিতের ধারাবাহিক মন্তব্য কি বৃহত্তর চিত্রনাট্যের অংশ? বিজেপি নেতৃত্ব প্রকাশ্যে নীরব থাকলেও জানা গেছে, চলতি মাসের শুরুতে রাজস্থানের পুষ্করে বৈঠকে বসেছিলেন সংঘ ও বিজেপির শীর্ষ নেতারা। নীতিগতভাবে সংঘ ‘এক দেশ, এক ভাষা, এক ঝান্ডা এবং এক হিন্দু রাষ্ট্র’ গড়ার পক্ষে।

তাদের দাবি, আঞ্চলিক দলগুলির কারণেই ‘বিভেদের রাজনীতি’ তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রে একটি মাত্র দল থাকলে বিভেদ দূর করা সম্ভব। তবে কি অমিতের কণ্ঠে সেই একই আকাঙ্ক্ষাই প্রতিধ্বনিত হলো?