ঈমানি শক্তি না থাকাই মুসলমানদের বিপর্যয়ের একমাত্র কারণ; মুফতি ফয়জুল্লাহ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ১১ ২০১৯, ২২:১৫

জুনায়েদ আহমেদ: সাহাবায়ে কেরাম যে তরবারি দিয়ে বেইমান, মুশরিকদের বিরুদ্ধে লড়াই করতেন, সেই তরবারিতে লোহার কোনো শক্তি ছিলো না। সেই তরবারিতে ছিলো ঈমানের পরশ। সেই তরবারি নিয়ে যখন কাফের, মুশরিকদের মোকাবেলায় অবতীর্ণ হতেন, ঈমানি শক্তি নিয়ে যখন তাদের সামনে দাঁড়াতেন- সমস্ত কাফের মুশরেক তাদের সামনে ছবির মত উড়ে যেতো, মোমের মত গলে যেতো। আজ মুসলমানরা দুর্বল। মুসলমানরা কখনো এখানে মাথা নত করে, সেখানে পূজা করে, ওখানে হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে থাকে। এর একমাত্র কারণ মুসলমানদের ঈমানি শক্তি নেই। যখনি মুসলমানদের মধ্যে ঈমানি শক্তি আসবে, যখনি মুসলমানদের ঈমান বলিষ্ঠ হবে, যখনি মুসলমানদের ঈমান প্রাণময় হবে- তখনি মুসলমান কারো সামনে মাথা নত করবে না।

গতকাল ১০ ডিসেম্বর মঙ্গলবার নেত্রকোণা জেলার ঐতিহ্যবাহী দুর্গাপুর সোমেশ্বরী নদীর তীরবর্তী জামিয়া মাদানিয়া জামিউল উলূম কাচারি মাদরাসার বার্ষিক মাহফিলের প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুফতী ফয়জুল্লাহ এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আজ দেশে দেশে মুসলমানদেরকে নির্যাতন করা হচ্ছে। মিয়ানমারে মুসলমানদের নিপীড়ন করা হচ্ছে। অবলীলায় তাদেরকে হত্যা করা হচ্ছে। চীনে উইঘুর মুসলমানদেরকে বন্দী করে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে। সেখানে রোযা রাখা যায় না, নামাজ পড়া যায় না, কোরআন তেলাওয়াত করা যায় না।এমনকি মসজিদগুলোকেও গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।

তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারতে মুসলমানদেরকে রাষ্ট্রহীন করার জন্য বিভিন্ন আইন করা হচ্ছে। কাশ্মীর, যেটাকে দুনিয়ার জান্নাত বলা হয়। সেই কাশ্মীরের মাদরাসাগুলোকে কসাইখানায় পরিণত করা হয়েছে। কাশ্মীরের নদীগুলোকে মুসলমানের রক্তে রঞ্জিত করা হয়েছে। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে হলে মুসলমানদের ঈমানকে শক্তিশালি করতে হবে।

জানা যায়, গতকাল বিকেল থেকে শুরু হওয়া মাহফিলের সম্মেলনস্থল মাগরিবের পরপরই লোকে লোকারণ্য হয়ে পড়ে। তখন তীল ধারণের ঠাঁই ছিলো না। এ সময় রাস্তায় দাঁড়িয়ে আলোচনা শুনতে দেখা যায় অনেককে।

এছাড়াও হযরত মাওলানা আঃ আজিজের সভাপতিত্বে মাহফিলে আরো আলোচনা করেন- মুফতী জাফর আহমদ, মুফতী হাবিবুল্লাহ মাহমুদ কাসেমী, মুফতী আখতারুজ্জমান প্রমুখ আলেমগণ।