আ. লীগের সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ২৫

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মার্চ ২১ ২০২২, ১৮:৫৪

রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সম্মেলনে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে দুপক্ষের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশসহ ২৫ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।

সোমবার বেলা ১১টায় উপজেলার শাহদৌলা সরকারি কলেজ মাঠে সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে মঞ্চে আমন্ত্রিত অতিথিরা আসন গ্রহণ করেন। এর পর কুরআন তিলাওয়াত, গীতা পাঠ ও নেতাদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। তারপর সংঘর্ষ শুরু হয়।

জানা যায়, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও বাঘা পৌরসভার সাবেক মেয়র আক্কাস আলীর সমর্থকরা মঞ্চের সামনে আক্কাস ভাই আক্কাস ভাই বলে স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির সমর্থকরা। এতে উভয়ের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন।

এ সময় মঞ্চের ওপরে চেয়ার ছুড়ে মারা, চেয়ার ভাঙচুর, কাঠের বাটাম, দেশীয় অস্ত্র, বাঁশের লাঠি ব্যবহার করা হয়। সংঘর্ষ চলে প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী। এ সময় সংঘর্ষে আহত হয়েছেন ঢাকা থেকে আগত এক নেতার প্রেস সহকারী এমএসএ রেজা, বাঘা পৌর আ’লীগের সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস সরকার, শাহরিয়ার হোসেন, সিরাজুর ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, মুরাদ হোসেন, লিটন ভুঁইয়া, আলম হোসেন, সুজন আলীসহ অন্তত পক্ষে ২৫ জন।

এর মধ্যে সাইফুল ইসলাম ও সিরাজুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপ করে। ঘণ্টাখানেক পর পরিস্থিতি শান্ত হলে সম্মেলনের কার্যক্রম শুরু হয়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এমপির সভাপতিত্বে সম্মেলন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন প্রধান অতিথি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এ এইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, সদস্য বেগম আখতার জাহান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজশাহী জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অনিল কুমার সরকার, রাজশাহী জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল ওয়াদুদ দারা (সাবেক এমপি), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট লায়েব উদ্দীন লাভলু প্রমুখ।

এ ঘটনায় শাহরিয়ার আলম এমপি ও আক্কাস আলীর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে বাঘা থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে শান্ত করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে।