আশা জাগানিয়া সংবাদ প্রকাশ করতে তথ্যমন্ত্রীর আহ্বান

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

এপ্রিল ৩০ ২০২০, ১৬:২০

দুর্যোগের মধ্যে আশা জাগানিয়া সংবাদ পরিবেশন করে মানুষকে জীবনসংগ্রামে টিকিয়ে রাখার মনোবল যোগাতে সংবাদপত্রের মালিকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, আশাই মানুষকে ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যায়, আশাই মানুষকে জীবন সংগ্রামে টিকিয়ে রাখে। সেজন্যই আমি সেই সংবাদগুলো প্রকাশের অনুরোধ জানাব, যে সংবাদগুলো মানুষের মাঝে আশা জাগাবে; মানুষকে জানাবে যে আগামীতে সমস্ত অন্ধকার কেটে গিয়ে সুদিন আসবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিউজপেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

তথ্যসচিব কামরুন নাহার, নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ ও অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যদের মধ্যে মতিউর রহমান, মাহফুজ আনাম, তারিক সুজাত, শাহ হোসেন ইমাম, নঈম নিজাম, আলতামাশ কবির মিশু ও সাইফুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদপত্রের মালিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা চেষ্টা করবেন যাতে করে ইতিবাচক সংবাদগুলো বেশি করে আসে। এ সময়ে ইতিবাচক সংবাদগুলো খুব জরুরি, কারণ হতাশাগ্রস্ত, শংকিত মানুষেরা ভবিষ্যৎ নিয়ে ভীষণভাবে চিন্তিত। এখন মানুষকে আশাবাদী করে তোলা আমাদের দায়িত্ব। আন্তর্জাতিক মাধ্যমেও অনেক সময় নেতিবাচক সংবাদ আসে, যেগুলো অনেক সময়ই বাস্তবচিত্রের পরিস্ফুটন নয়। আমি দেখেছি যে গতকাল বিদেশি গণমাধ্যমে এমন একটি সংবাদ এসেছে, যেটি এখানে অনেক পত্রিকায়ই ছাপা হয়নি। এজন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।

সংবাদপত্র ও সরকার, আমরা আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করব এবং যেহেতু আমাদের সম্মিলিত লক্ষ্য জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, সুতরাং সেই লক্ষ্যেই আমরা সবাই একযোগে কাজ করব, উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।

নোয়াব সভাপতি একে আজাদ তার বক্তব্যে সরকারি ক্রোড়পত্রসহ বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল যাতে সংবাদপত্রগুলো দ্রুত পেতে পারে, সেজন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে আরো জোরালো ভূমিকা রাখার অনুরোধ করেন। একই সাথে সংবাদপত্রের জন্য ব্যাংক ঋণ সুবিধা ও সংবাদপত্রের হকার, পরিবহন শ্রমিক ও এজেন্টদের জন্য আর্থিক প্রণোদনার বিষয়গুলো সুবিবেচনার দাবি জানান।

এর পরিপ্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সংবাদপত্রের যে বকেয়াগুলো আছে, সেগুলো পরিশোধের জন্য এরই মধ্যে মন্ত্রিপরিষদ থেকে চিঠি দিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে সব মন্ত্রণালয় সংবাদপত্রের বকেয়া পরিশোধ করে। সেটির পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আগামী সপ্তাহে প্রয়োজনে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে আরেকটা তাগিদপত্র সব মন্ত্রণালয়ে দেব।

ড. হাছান আরো বলেন, আপনারা সংবাদপত্র পরিচালনার জন্য যে ঋণের কথা বলেছেন, সে বিষয়েও আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কথা বলব। যেহেতু সংবাদপত্র আমার দৃষ্টিতে একটি সার্ভিস সেক্টর। শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে শিল্প হিসেবেও আপনারা কিছু সুবিধা পান, পাশাপাশি সার্ভিস সেক্টর হিসেবেও আমি মনে করি এখানে সুযোগ রয়েছে।

এর পরপরই ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ’র প্রতিনিধিরা তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সাথে তার দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন।

ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী ও সদস্য মোতাহার হোসেন মন্ত্রীর সাথে মতবিনিময়কালে সদ্য প্রয়াত সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর খোকনের পরিবারের জন্য সাহায্য কামনা করেন। সেই সাথে করোনায় আক্রান্ত সাংবাদিকদের সুচিকিৎসা ও ডিআরইউ সদস্যদের জন্য সম্ভাব্য সরকারি সহায়তার আবেদন জানান প্রতিনিধিরা।