আল হাসানাহ রক্তদান সোসাইটি’র উদ্যোগে রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

আগস্ট ২১ ২০১৯, ০৮:৫১

একুশে জার্নাল ডেস্ক: গতকাল দুপুর ১২ ঘটিকায় ২০ই আগষ্ট, মঙ্গলবার, ওসমানী স্মৃতি জাদুঘর দয়ামীরে, মানবতার কল্যাণে এগিয়ে আসুন রক্তদানে এই শ্লোগানকে সামনে রেখে সোসাইটির চেয়ারম্যানঃ মাওলানা যাকারিয়া যাকি’র সভাপতিত্বে, হাফিজ মাওলানা মুহাম্মাদ সাইম উদ্দিন এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে,
হা. মাওলানা ইমাদ বিন রফিক ও ইকবাল মাহমুদ এর পরিচালনায় সমাজের সর্বস্তরের মানুষের রক্তদানে সচেতনতা গড়ে তোলার জন্য এমনই আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় এবং শতাধিক সদস্য রক্তদাতা ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের আল হাসানাহ’র নাম ও লগো সম্বলিত টি-শার্ট, গেঞ্জি বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেনঃ
জনাব মুঈনুল হক চৌধুরী,
চেয়ারম্যান ওসমানী নগর উপজেলা।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্হিত ছিলেনঃ
জনাব এস এম আল মামুন,
অফিসার ইনচার্জ ওসমানী নগর থানা।
জনাব এস টি এম ফখর উদ্দিন,
চেয়ারম্যান দয়ামির ইউপি।
জনাব আব্দুল হাই মুশাহিদ,
সাবেক চেয়ারম্যানঃ দয়ামির ইউপি।
জনাব আখতারুজ্জামান চৌধুরী জগলু,
উপদেষ্টা অত্র সোসাইটি।
মাওলানা আনিসুর রহমান সাহেব,
উপদেষ্টা অত্র সোসাইটি।
মাওলানা আব্দুর রহমান কফিল,
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যানঃ খিদমাহ ব্লাড ব্যাংক।
জনাব মামুন মহি উদ্দিন সাহেব,
উপদেষ্টা অত্র সোসাইটি।
মুফতি মিনহাজ উদ্দিন মিলাদ। প্রিন্সিপালঃ দারুল আজহার মডেল মাদ্রাসা, গোয়ালাবাজার।
মাওলানা তালেবুদ্দিন সাহেব,
মুহাদ্দিস জামেয়া রেংগা।
মাওলানা মঞ্জুরে মাওলা,
প্রিন্সিপালঃ দারুল আজহার সিলেট।
মাওলানা আব্দুল হান্নান,
চেয়ারম্যানঃ সিল্কো হোম প্রাইভেট লিমিটেড।
মাওলানা ক্বাজী আমিন উদ্দিন,
প্রিন্সিপালঃ ইকরা বাংলাদেশ দয়ামীর।
জনাব যোবায়ের আহমদ শাহিন,
উপদেষ্টা অত্র সোসাইটি।
মাওলানা আব্দুল মালিক চৌধুরী,
মুহাদ্দিসঃ জামেয়া দয়ামীর।
মাওলানা আবু বকর সিদ্দিক,
সভাপতিঃ আল ফালাহ জনকল্যাণ সংস্থা কুরুয়া,
জনাব মোজাক্কির আহমেদ নাজু প্রমুখ।
বিশেষ অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার রক্তই এক লাল রঙের। এর মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। মানুষের শরীরে রক্তের প্রয়োজনীয়তা এত বেশি যে, এটা ছাড়া কেউ বেঁচে থাকতে পারে না। মুমূর্ষু রোগীকে বাঁচাতে প্রায়ই জরুরি ভিত্তিতে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। যেমনঃ দুর্ঘটনায় আহত রোগী, অস্ত্রোপচারের রোগী, সন্তান প্রসবকালে, ক্যানসার বা অন্যান্য জটিল রোগে, এলিমিয়া, থ্যালাসেমিয়া, থিমোফিলিয়া ইত্যাদি কারণে রক্ত সঞ্চালনের প্রয়োজন পড়ে। বাংলাদেশের মতো গরিব দেশে বছরে পাঁচ থেকে ছয় লাখ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়, যার মাত্র ৩০ শতাংশ পাওয়া যায় স্বেচ্ছায় রক্তদাতার মাধ্যমে। বাকি রক্ত অধিকাংশ ক্ষেত্রে পেশাদার রক্তদাতা এবং আত্মীয়স্বজন ও বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়।
রক্ত অবশ্যই মানবদেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পূর্ণমাত্রায় রক্ত থাকলে মানবদেহ থাকবে সজীব ও সক্রিয়। আর রক্তশূন্যতা বা এনিমিয়া দেখা দিলেই শরীর অকেজো হয়ে পড়ে, প্রাণশক্তিতে ভাটা পড়ে। এই অতি প্রয়োজনীয় জিনিসটি কলকারখানায় তৈরি হয় না। বিজ্ঞানীদের যথাসাধ্য চেষ্টা সত্ত্বেও এখনো রক্তের বিকল্প তৈরি করা সম্ভব হয়নি। নিকট ভবিষ্যতে পাওয়া যাবে! এমনটাও আশা করা যায় না। মানুষের রক্তের প্রয়োজনে মানুষকেই রক্ত দিতে হয়। জীবন বাঁচানোর জন্য রক্তদান এতই গুরুত্বপূর্ণ যে, বলা হয় ‘করিলে রক্তদান, বাঁচিবে একটি প্রাণ’, ‘আপনার রক্ত দিন, একটি জীবন বাঁচান’, ‘সময় তুমি হার মেনেছো রক্তদানের কাছে, দশটি মিনিট করলে খরচ একটি জীবন বাঁচে।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেনঃ
রক্তদান একটি মানবিক দায়বদ্ধতা, সামাজিক অঙ্গীকার। “রক্ত দিন জীবন বাঁচান”

অালোচনা সভার সমাপনী অধিবেশনে সভাপতি তার বক্তব্য উপস্থাপন করে বলেনঃ
রক্তদান জীবন দান। কথাটার সঙ্গে আমরা সকলেই পরিচিত। অথচ রক্তদানের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতনতা, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ার মানসিকতা এখনও আমাদের মধ্যে গড়ে ওঠেনি সেভাবে। প্রতিদিন বিশ্বে রক্তের অভাবে বহু মানুষের প্রাণ গেলেও সুস্থ মানুষেরা অনেকেই রক্তদান সম্পর্কে ভুল ধারণা, ইতস্তত ভাব কাটিয়ে উঠতে পারেননি। রক্তদান সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে আমরা আল হাসানাহ রক্তদান সোসাইটি বদ্ধপরিকর! আমাদের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আমরা ২০১৭ সালে ১৬ডিসেম্বর সোসাইটির যাত্রা শুরু, সিলেট জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, ওয়াজ মাহফিলে আমাদের ক্যাম্পিং তথা কর্মসূচির আলোকে এ পর্যন্ত ৪০০শত ব্যাগ রক্ত দান করে অনেক অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি,
আলহামদুলিল্লাহ।

পরিশেষেঃ খিদমাহ ব্লাড ব্যাংক এর চেয়ারম্যান, মাওলানা আব্দুর রহমান কফিল সাহেবের দোয়ার মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।