আ’লীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ: লক্ষ্মীপুরে পুলিশের উপর হামলায় ২১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

মার্চ ১০ ২০২৩, ১২:১৪

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় পুলিশের উপর হামলার ঘটনায় ১৫ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। চন্দ্রগঞ্জ থানার এসআই মোঃ মহসীন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। চন্দ্রগঞ্জ থানার (ওসি) মোঃ তহিদুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলা দায়েরের বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেন।

এ ঘটনায় গ্রেফতার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা সফিকুল ইসলাম শিফন খলিফা, ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ হোসেন জয় ও এম সজীবসহ চারজনকে দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যায় চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় আওয়ামীলীগের কাজী সোলাইমান গ্রুপ ও চেয়ারম্যান নুরুল আমিন গ্রুপ মিছিল বের করে। এসময় চন্দ্রগঞ্জ পশ্চিম বাজারের আফজাল রোডের মোড়ে দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে গেলে উভয়পক্ষের ইটপাটকেল নিক্ষেপে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হন।

আহতরা হলেন, ডিবি পুলিশের এসআই জাকির হোসেন, চন্দ্রগঞ্জ থানার এসআই আব্দুর রহিম, কনস্টেবল মোজাম্মেল হোসেনসহ ১৫জন। পরে গুরুতর আহতদেরকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (এসআই) আব্দুর রহিম জানিয়েছেন, বুধবার রাতে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময় পুলিশের পাঁচজন সদস্য আহত হয়েছেন। এঘটনায় চারজনকে ঘটনাস্থল থেকে আটকের পর দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

চন্দ্রগঞ্জ থানার (ওসি) মোঃ তহিদুল ইসলাম বলেন, আওয়ামীলীগের দলীয় সংঘর্ষের সময় পুলিশের দুইজন এসআইসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন। এঘটনায় আসামীদের গ্রেফতার পুলিশ অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান ওসি।



পূর্ব নিউজ


কমিটি ঘোষণাকে কেন্দ্র করে লক্ষ্মীপুরে আওয়ামীলীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, তিন পুলিশসহ আহত-১৫, আটক-১৫


লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি. লক্ষ্মীপুরে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুুতি কমিটিকে কেন্দ্র করে দু-পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবদুর রহিম,জাকির হোসেন ও কনস্টেবল মোজাম্মেল হোসেনসহ অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে। আহত তিন পুলিশসহ ৫ জনকে সদর হাসপাতাল ভর্তিসহ ও অন্যদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এই ঘটনায় ইউনিয়ন আওয়ামলীগ নেতা শিপন খলিফা, ইব্রাহিম খলিল, ছাত্রলীগ নেতা এম সজিব,রিয়াজ হোসেন ও ইদ্রিস হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার রাতে চন্দ্রগঞ্জ বাজারে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের প্রস্তুুতি কমিটির আহবায়ক কামাল হোসেন ও সাবেক ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি কাজী সোলাইমান-লিটন গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এর জের ধরে বাজারে দু-পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ ও দলীয় সূত্রে জানা যায়, ৩ মার্চ চন্দ্রগঞ্জ থানায় আওয়ামলীগের পক্ষ থেকে চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়। এই প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক করা হয় কামাল হোসেনকে। এই কমিটিকে অভিনন্দন জানিয়ে বুধবার সন্ধ্যায় চন্দ্রগঞ্জ বাজারে আফজাল রোডের মুখে একটি আনন্দ মিছিল বের করে কামাল হোসেন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল আমিন পক্ষের লোকজন।
এর আগে এই প্রস্তুুতি কমিটিকে প্রত্যাখান করে বাজারের নিউমার্কেটের সামনে প্রতিবাদ সভা ও মিছিল করে ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক দাবীদার কাজী সোলাইমান ও লিটন পক্ষের লোকজন।
এর জের ধরে কাজী সোলাইমান ও লিটন গ্রুপের লোকজন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক কামাল হোসেন গ্রপের হামলা করে। এ নিয়ে দু-পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া সংঘর্ষ হয়। এসময় পুলিশের উপ-পরিদর্শক আবদুর রহিম,জাকির হোসেন ও কনস্টেবল মোজাম্মেল হোসেন,আওয়ামীলীগ নেতা শিপন খলিফা,ছাত্রলীগ নেতা এম সজিব,রাসেল হোসেন,রাজু আহেমদ, সুমন হোসেন ও রাজিব হোসেনসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৫জন আহত হয়েছে। আহত তিন পুলিশসহ ৫জনকে সদর হাসপাতাল ও অন্যদের প্রাইভেট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ লার্টিচার্জ করে। বাজারে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে কাজী সোলাইমান ও লিটন নিজেদের চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সম্পাদক দাবী করে বলেন, কমিটি বাতিল না করে গোপনে সম্মেলন প্রস্তুুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। যাহা দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থি। এই কমিটি কোন নেতাকর্মী মেনে নেয়নি এবং নিবেনা। এর প্রতিবাদে নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে। চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ও কামাল হোসেন পরিকল্পিতভাবে নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে।
অপরদিকে প্রস্তুুতি কমিটির আহবায়ক কামাল হোসেন বলেন, বিনা উস্কানীতে সম্মেলন প্রস্তুুতি কমিটির আনন্দ মিছিলে কাজী সোলাইমান ও লিটনের নেতৃত্বে হামলা চালিয়ে বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে আহত করেছে।
চন্দ্রগঞ্জ থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবুল কাশেম চৌধুরী বলেন, চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর বাহিরে আর কোন কমিটি নাই। কেউ কমিটি দাবী করলে গঠনতন্ত্র মোতাবেক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, কমিটি নিয়ে দু-পক্ষের সংঘর্ষে তিন পুলিশসহ আহত হয়েছে ১৫জন। এ ঘটনায় ১৫জনকে আটক করা হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। বাজারে কেউ আইনশৃংখলা অবনতির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। মামলার প্রস্তুুতি চলছে।