‘আইএবি’ নয় আসুন ‘ইআবা’ লিখি

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জানুয়ারি ২৩ ২০১৯, ০৭:৩১

 

ইলিয়াস সারোয়ার

১. যে কোন বড় নাম বারবার ব্যবহার করতে হলে তার সংক্ষিপ্ত রূপ ব্যবহার করা বক্তার বলা ও লেখকের লেখাকে সহজ করে দেয় ৷ যে কারণে বড় নামসমূহের সংক্ষিপ্তরূপ ব্যবহারের বহুল প্রচলন রয়েছে বাংলাদেশে ৷ সাধারণত বাংলা নামের সংক্ষিপ্ত রূপ বাংলা বর্ণ ও ইংরেজি নামের সংক্ষিপ্ত রূপ ইংরেজি অক্ষর দিয়ে করা হয় ৷ যেমন, ‘বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি’ ইংরেজি নামটির সংক্ষিপ্তরূপ বিএনপি, সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী বাংলা নামটির সংক্ষিপ্তরূপ সাকা চৌধুরী ইত্যাদি ৷

২.’ ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ’ ইংরেজি নয়, বাংলা নাম ৷ এর সংক্ষিপ্ত রূপ বাংলায় ‘ইআবা’ করাই যৌক্তিক ৷ যারা এটাকে ইংরেজিতে ‘আইএবি’ লিখেন তাদের এভাবে লেখাটা অযৌক্তিক ৷

৩. জানা মতে, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ দলীয়ভাবে কখনও এ ব্যাপারে কোন বিবৃতি দেয়নি যে, এই দলের নাম ‘ইআবা’ লেখা যাবে না, বরং ‘আইএবি’ লিখতে হবে ৷ সুতরাং ‘আইএবি’ না লিখে ‘ইআবা’ লিখলে যে সকল ইআবাকর্মী উক্ত লেখককে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করা শুরু করেন তারা মোটেও ভাল কাজ করেন না ৷ এমনকি দলের জন্যও এটা ভাল ফলদায়ক নয় ৷

৪. ইআবার দলীয় কোন লিফলেটেও কখনও এর সংক্ষিপ্তরূপ হিসেবে ‘আইএবি’ লেখা দেখা যায়নি ৷ তবু সবাইকে ‘আইএবি’ই কেন লিখতে হবে তা বোধগম্য নয় ৷ এক কদম আগে বেড়ে কেউ কেউ তো ‘আইএবি’ না লিখে ‘ইআবা’ লেখার কারণে অকথ্য ভাষায় গালাগালিও শুরু করেন! ইসলামের নামে রাজনীতি করা দলটি তাদের কর্মীদের নিশ্চয়ই এমনটা কখনও শিক্ষা দেননি ৷ তাহলে এমন গর্হিত কাজ যে কর্মীরা করছে তারা দলের উপকার করছে নাকি ক্ষতি করছে?

৫.
সাধারণত ইআবার কর্মী-সমর্থকরা ‘ইআবা’ বলা পছন্দ করেন না ৷ এর কারণ বিশ্লেষণ করলে যা পাওয়া যায় তা হলো, ‘ইআবা’ নামটি নেশাদ্রব্য ‘ইয়াবা’-এর সঙ্গে মিলে যায় ৷ কিন্তু এক্ষেত্রে ভাবার বিষয় হলো, এভাবে একটি অক্ষরের ব্যবধানের পরও শব্দের অর্থটা মন্দ বিষয়ের সঙ্গে মিলে যাওয়ার ফলে যদি পুরো শব্দটিই ত্যাগ করতে হয়, তাহলে বাংলা ভাষাসহ সকল ভাষার কত সহস্র শব্দ ব্যবহার করা বর্জন করতে হবে তা কি গুণে শেষ করা যাবে? তাহলে এই হিসেবেও ‘ইআবা’ না লিখে ‘আইএবি’ লেখা বা বলা কি অযৌক্তিক নয়?

তাই আসুন! সবাই দলটির নামের সংক্ষিপ্ত রূপ হিসেবে যৌক্তিক নামটিই (ইআবা) গ্রহণ করি ৷ কেননা কোন জ্ঞানী লোক কখনও অযৌক্তিক কাজ করতে পারে না ৷