টাইগারদের বোলিং কোচ হতে চান খালেদ মাহমুদ সুজন
একুশে জার্নাল ডটকম
ডিসেম্বর ১৮ ২০১৯, ১৮:২৫
পদত্যাগ করে চলে গেছেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের ফাস্ট বোলিং কোচ চার্ল ল্যাঙ্গাভেল্ট। নিজ দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষ থেকে পেস বোলিং কোচের প্রস্তাব পাওয়ার পরই তিনি ছেড়ে দিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের চাকরি। গত ২০ আগস্ট ঢাকায় আসার পর, ল্যাঙ্গাভেল্টের চাকরির বয়স চার মাসও পুরো হয়নি। এর মধ্যেই আবার নতুন বোলিং কোচ খুঁজতে হবে বিসিবিকে।
জাতীয় দলের কোচ হিসেবে বরাবরই বিদেশিদের প্রতি বেশি আগ্রহ বিসিবির। এবারও নতুন বোলিং কোচ হিসেবে বিদেশি কাউকে দেখতে পাওয়াই হবে স্বাভাবিক। সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে না হলেও, আগামী জানুয়ারিতে সম্ভাব্য পাকিস্তান সফরের আগেই নতুন ফাস্ট বোলিং কোচ নিয়োগ দেয়ার চেষ্টা করবে বোর্ড।
ল্যাঙ্গেভেল্ট চলে যাওয়ায় শূন্য পদে আগ্রহ দেখিয়েছেন সাবেক টাইগার অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজন। তবে অন্তর্বর্তীকালীন নয়, পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব চান। এর আগে কয়েক দফা প্রধান কোচ হিসেবে সাময়িক দায়িত্বে ছিলেন এ কোচ।
বোলিং কোচের পদ শূন্য, সেখানে দায়িত্ব দিলে গ্রহণ করবেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সুযোগ পেলে সবাই কাজ করতে আগ্রহী। এর আগেও দু’বার বাংলাদেশের হেড কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। যদিও সেগুলো দীর্ঘ মেয়াদি ছিল না। নির্দিষ্ট একটি সময়ের জন্য। যখন রেজাল্ট খারাপ হয় বা বাদ পড়ে যাই তখন খারাপ লাগে। এর আগেও বলেছি দীর্ঘ মেয়াদি হলে ভালো হয়। তাছাড়া এক এক জন কোচের ভাবনা-চিন্তা এক এক রকম। ওই ভাবনা-চিন্তা গুলো নিয়ে কাজ করতে গেলে একটু সময় লাগে। তাছাড়া আমাদের গ্রহণযোগ্যতা ছেলেদের কাছে কতটুকু তা জানতে হবে।’
এ সময় জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের স্থানীয় কোচেদের ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গির বিষয়ে আলোকপাত করে সুজন আরও বলেন, ‘আমার দর্শন এবং অন্য কোচের দর্শন কিন্তু এক হবে না। প্রত্যেকটা কোচেরই ভিন্ন ভিন্ন দর্শন থাকে। তো ওটা নিয়ে কাজ করতে গেলে সময় লাগে। বাংলাদেশ টিমকে আমি খুব কাছ থেকে দেখি, ছেলেদের ভেতরটা জানি। খেলোয়াড়দের কাছেও কোচ হিসেবে আমাদের কতটা গ্রহণযোগ্যতা আছে স্থানীয়দের ব্যাপারে, বিদেশি কোচ আসলে একটা এক্সাইটমেন্ট থাকে সেটিও একটা ব্যাপার।’