মিজানুর রহমান, মনপুরা ভোলা জেলা প্রতিনিধিঃ ফেসবুকে মহানবী (সঃ)কে কটুক্তি করা নিয়ে ভোলায় সাধারণ তৌহীদি জনতার বিক্ষোভ সমাবেশকে কেন্দ্র করে পুলিশের সাথে মুসল্লীদের সংঘর্ষে ভোলা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়।

আমাদের ভোলা প্রিতিনিধি মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, সংঘর্ষের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫ মুসল্লি নিহত এবং প্রায় দেড়শতাধিক আহত হয়েছেন।

এদের মধ্যে আহত প্রায় শতাধিক মুসল্লিকে বোরহানউদ্দিন হাসপাতালে, ৪০ জনকে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। গুরুতর ১০-১৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানে হয়েছে। নিহতরা হলেন বোরহানউদ্দিন উপজেলার আব্দুল পাটওয়ারী (১৪), বোরহানউদ্দিন পৌর সভার ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মাহফুজ (৪৫), মনপুরা হাজিরহাট এলাকার বাসিন্দা মিজান (২৩)

জানা যায়, গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের ম্যাসেঞ্জার রসুল (সঃ)কে কুরুচিপূর্ণ ম্যাসেজ পাঠায়। এ নিয়ে আজ রবিবার বেলা ১১টার দিকে বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ মাঠে সর্বস্তরের তৌহীদি জনতার ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিলে আয়োজন করা হয়। এ বিক্ষোভ মিছিলটি না করার জন্য বোরহানউদ্দিন ঈদগাহ মসজিদের ইমাম মাওলানা জালাল উদ্দিন, বাজার মসজিদের ইমাম মাওলানা মিজানকে পুলিশ অনুরোধ জানায়।
এসময় মুসল্লীরা পুলিশি বাঁধা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ মিছিল করলে পুলিশ ফাকা গুলিসহ টিয়ার্শেল নিক্ষেপ করে,
এক পর্যায়ে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। পরে পুলিশ উত্তেজিত মুসল্লীদের উপর ফাকা গুলি ছুড়ে। এতে পাচঁ মুসল্লী নিহত হয় এবং দেড়শতাধিক আহত হয়।
সকাল ১০টা থেকে দুপুর এক টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় ।

এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুরো জেলা জুড়ে সাধারণ মানুষের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রনে আনতে বোরহানউদ্দিনে বিভিন্ন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরকে মোতায়েন করা হয়।