আবরার হত্যার ঘটনা বাক-স্বাধীনতার ওপর নিষ্ঠুরতম আঘাত: টিআইবি

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ১১ ২০১৯, ০৯:৪০

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) হলে শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা বাক-স্বাধীনতার ওপর নিষ্ঠুরতম আঘাত বলে মন্তব্য করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। এ ঘটনায় সংস্থাটি গভীর উদ্বেগও প্রকাশ করেছে।

বৃহস্পতিবার টিআইবি থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই উদ্বেগের কথা জানানো হয়।

একইসঙ্গে ছাত্রসংগঠন তথা শিক্ষাঙ্গনের ওপর দুর্বৃত্তায়িত অসুস্থ রাজনৈতিক প্রভাবে আবরারের নিষ্ঠুর পরিণতি উল্লেখ করে অবিলম্বে বুয়েটসহ দেশের সকল ছাত্রসংগঠনসহ শিক্ষাঙ্গনকে সম্পূর্ণ দলীয় রাজনীতিমুক্ত করার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

আবরার হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ এবং ছাত্র আন্দোলনের গৌরবময় ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে সকল ছাত্রসংগঠনসহ শিক্ষাঙ্গনকে সম্পূর্ণ দলীয় রাজনীতিমুক্ত করার কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করছে টিআইবি।

টিআইবি বলছে, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে একের পর এক রক্তক্ষয়ী ছাত্র সহিংসতা, ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম, দলীয় রাজনৈতিক প্রভাবদুষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পৃষ্ঠপোষকতা এবং একই কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যত নিষ্ক্রিয়তার ফলে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী আদর্শিক ছাত্র আন্দোলনের অস্তিত্ব সংকটের মুখোমুখি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘বাংলাদেশে ছাত্র আন্দোলনের যে গৌরবোজ্জ্বল অতীত ও  অবিস্মরণীয় ভূমিকা তাকে ম্লান করে দিচ্ছে ছাত্রসংগঠনের ওপর দুর্বৃত্তায়িত রাজনীতির নিষ্ঠুর প্রভাব। ছাত্রসংগঠনের নেতা-কর্মী কর্তৃক বাক-স্বাধীনতার ওপর নৃশংস আঘাতের সূতিকাগার রাজনৈতিক নেতৃত্বের একাংশের পরমত অসহিষ্ণুতা ও অসুস্থ একচ্ছত্রায়িত ক্ষমতার রাজনীতি, যা এক বিধ্বংসী তাড়নায় বাংলাদেশের ইতিহাসে ছাত্র আন্দোলনের গৌরবকে নিশ্চিহ্ন করে দেবার ঝুঁকি সৃষ্টি করছে।’

সংস্থাটির প্রধান উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘আমরা উদ্বিগ্ন এবং শঙ্কিত। আশা করি রাজনৈতিক নেতৃত্বের দায়িত্বশীল অংশ আমাদের এই উৎকণ্ঠার গভীরতা উপলব্ধি করতে পারবেন, অনুতপ্ত হবেন এবং শিক্ষাঙ্গনে শিক্ষার পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে ও সর্বোপরি আইনের শাসন এবং প্রজন্মের কল্যাণ বিবেচনায় ছাত্রসংগঠনগুলোকে অসুস্থ রাজনীতির কালো থাবামুক্ত করবেন।’

ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘নিজ উদ্যোগে বাংলাদেশে সুস্থ রাজনীতির বিকাশের স্বার্থে রাজনৈতিক দলকে সত্যিকার অর্থেই সুস্থ রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে রূপান্তরিত করতে আমূল সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।’