কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও চীনের পাল্টাপাল্টি বিবৃতি

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ১০ ২০১৯, ১৬:৪৯

কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও চীনের মধ্যে টানাপোড়েনের জেরে ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য কোনও দেশের মাথা গলানোর প্রয়োজন নেই’ বলে ভারতের পক্ষ থেকে মন্তব্য করা হয়েছে। দু’দেশের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে গেছে যে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিবৃতি দিতে হয়েছে।

গতকাল (বুধবার) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ভারতের এই অবস্থান চীন ভালো করেই জানে। ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য কোনও দেশের মাথা গলানোর প্রয়োজন নেই।’

আগামী ১১/১২ অক্টোবর দু’দিনের সফরে ভারতে আসছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। ভারতের চেন্নাইয়ে ঘরোয়া বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও শি জিনপিং মুখোমুখি হবেন। ভারত-চীন দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্ক ত্বরান্বিত করা নিয়ে মোদি-জিনপিংয়ের মধ্যে আলোচনা হবে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বেইজিং সফরে গিয়ে প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। গতকাল (বুধবার) ওই বৈঠকের পরে জিনপিং বলেন, তিনি কাশ্মীর পরিস্থিতির দিকে ‘নজর’ রাখছেন। পাকিস্তানের সমস্ত ‘প্রধান’ বিষয়ে চীন তাদের পাশে আছে। দু’দেশের রাষ্ট্র প্রধানের যৌথ বিবৃতিতে ‘জাতিসঙ্ঘের সনদ মেনে কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করা যেতে পারে’ বলে মন্তব্যও করা হয়েছে।

জিনপিং বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক বা আঞ্চলিক পরিস্থিতিতে যে পরিবর্তনই আসুক, পাকিস্তানের সঙ্গে চীনের বন্ধুত্ব কখনওই ভাঙেনি, বরং পাথরের মতো দৃঢ় থেকেছে। বেইজিং-ইসলামাবাদ পারস্পারিক সহযোগিতাও সব সময়ই রয়েছে।’

চীনের অবস্থানের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রবীশ কুমার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেছেন, অভ্যন্তরীণ বিষয়ে অন্য কোনও দেশের মাথা গলানোর প্রয়োজন নেই।

চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র গেং শুয়াং অবশ্য বলেছেন, ‘কাশ্মীর নিয়ে আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট এবং সব সময়েই এক। তা হল- ভারত ও পাকিস্তান নিজেদের মধ্যে কাশ্মীরসহ সমস্ত বিষয়ে কথা বলে পারস্পরিক বিশ্বাস দৃঢ় করুক।’

উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে এভাবে পাল্টাপাল্টি বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। চেন্নাইতে মোদি-জিনপিংয়ের মধ্যে বৈঠকে কাশ্মীর ইস্যু ওঠে কিনা সেদিকেই এখন কূটনৈতিক মহলের নজর।

একুশে জার্নাল/ইএম