ভোলার বোরহানউদ্দিনে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষে চারজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িতদের ছাড় দেয়া হবে না বলে জানিয়েছেন ডিআইজি শফিকুল ইসলাম । এর আগে ফেসবুকে বিশ্বনবী সা.কে নিয়ে ধর্ম অবমাননাকর পোস্ট দেয়াকে কেন্দ্র করে ভোলার বোরহানউদ্দিনে ‘মুসলিম তাওহিদী জনতা’র ব্যানারে এক সমাবেশের পর পুলিশের হামলার শিকার হন তৌহিদী জনতা।

বোরহানউদ্দিন উপজেলা সদরে বেলা পৌনে ১১টার পর থেকে দফায় দফায় এই সংঘর্ষে একজন মাদ্রাসাছাত্রসহ আন্তত পাঁচজন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। এছাড়া পুলিশের গুলিতে আহত হয়েছেন আরও নয়জন। নিহতরা হলেন- মাহাফুজ, মিজান, শাহীন ও মাহবুব। গুলিবিদ্ধরা হলেন- বোরহানউ‌দ্দি‌নের ছোটমা‌নিকা এলাকার মিজানুর রহমান (৩০), নান্টু (৪০), দমাকসুদুর রহমান (১৮), তানভীর (৩০), অলিউল্লাহ (৪০), সি‌দ্দিক (২৮), তাহের, শামীম ও সোহরাব।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার কাচিয়া ইউনিয়নের বিপ্লব নামে এক যুবকের ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে উপজেলাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। শনিবার ওই যুবকসহ আরও একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ফেসবুক পোস্টটির প্রতিবাদে রোববার বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় স্থানীয় লোকজন। তারা বোরহানউদ্দিন মাধ্যমিক বিদ্যালয় এলাকায় প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ বাধা দেয়ার চেষ্টা করে তাদের। এক পর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ শুরু হরে পুলিশ বেশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এতে প্রায় অর্ধশত লোক আহত হয়। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় বেশ কয়েকজনকে ভোলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। ওই এলাকায় এখনও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।