খালেদা জিয়ার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো পঙ্গু হয়ে যাচ্ছে : মির্জা ফখরুল
একুশে জার্নাল ডটকম
নভেম্বর ১২ ২০১৯, ১৬:৪৫
বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গগুলো পঙ্গু হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বেগম জিয়া এখন এত অসুস্থ যে তিনি নিজে হাতে ধরে কিছু খেতেও পারেন না। তাকে অন্যের সাহায্য নিয়ে খেতে হয়, হাতে তুলে খাইয়ে দিতে হয়। তিনি হুইলচেয়ার ছাড়া চলতে পারেন না। এমনকি বিছানা থেকেও দু’জন সাহায্য করে তাকে উপরে তুলতে হয়। অথচ সরকারের যে মদদপুষ্ট হাসপাতাল সে হাসপাতালে ডাইরেক্টর বলেন- তিনি (বেগম খালেদা জিয়া) আগের চাইতেও সুস্থ্য। দেশনেত্রী বেগম জিয়ার স্বাস্থ্য সম্বন্ধে এই যে মিথ্যা ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে এর জন্য তার বিচার হওয়া উচিত। তিনি বলেন বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে যে রিপোর্ট দিয়েছেন তা প্রকাশ করা হচ্ছে না। আমরা স্পষ্ট ভাবে বেগম জিয়ার স্বাস্থ্যের সঠিক তথ্য প্রকাশ করার দাবি জানাচ্ছি।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক শওকত মাহমুদের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন- বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান, আব্দুল কুদ্দুস, বিএনপির সহ-প্রচার সম্পাদক কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামীম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, সাধারণ সম্পাদক এম আবদুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সম্পর্কে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঢাকঢোল পিটিয়ে ভারত সফরে গেলেন। আমরা আশা করেছিলাম সেখানে আমাদের তিস্তাসহ অন্যান্য চুক্তি সম্পন্ন হবে এবং আমরা আমাদের ন্যায্য হিস্যা পাব। কিন্তু তিস্তা নদীর এক ফোঁটা পানি পাওয়ারও কোনো চুক্তি হয়নি। অথচ অন্যদিকে আমার ফেনী নদীর পানি তাদেরকে দেয়ার জন্য চুক্তি করে আসা হয়েছে। আজকে গ্যাস আমদানি করে আগরতলাতে পাঠানো হচ্ছে অর্থাৎ আমদানি করে রপ্তানি করা হচ্ছে। জনগণ এত বোকা নয় যে জনগণ বুঝতে পারে না।
বিএনপি মহাসচিব আরো বলেন, আজকে বঙ্গোপসাগরে রাডার লাগানো হচ্ছে। বঙ্গোপসাগরকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য ভারত রাডার বসাবে এবং তারা পর্যবেক্ষণ করবে। আমরা স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছি এবং আবারো চাই। এই চুক্তিগুলোর পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা জনগণের সামনে সরকারকে তুলে ধরতে হবে। আমার দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা হচ্ছে কিনা আমরা এবিষয়ে সরকারের কাছে আমরা স্পষ্ট ব্যাখ্যা চাই।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মানে জনগণের মুক্তি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি মানে গণতন্ত্রের মুক্তি। তাই আজকে আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আমরা বারবার বলেছি ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে সরকারের পতন ঘটাতে হবে। সমস্ত দেশ প্রেমিক শক্তিগুলোকে একত্রিত করে আন্দোলনের মাধ্যমে তাদেরকে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে হবে।