আফগানিস্তানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহীদের হামলা; নিহত ৮৫

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

অক্টোবর ১৬ ২০১৯, ০১:১০

আফগানিস্তানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিদ্রোহীদের চালানো তাণ্ডবে ৮৫ জন নিহত হয়েছে বলে এক তদন্ত প্রতিবেদনে জানিয়েছে জাতিসংঘ। মঙ্গলবার আফগানিস্তানে নিযুক্ত জাতিসংঘের সহায়তা মিশন (ইউএনএএমএ) প্রতিবেদনেটি প্রকাশ করে জানায় এ সময় আরও ৩৫৫ জন বেসামরিক লোক আহত হয়েছেন।

ইউএনএএমএ রিপোর্টে বলে, অনুসন্ধানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক সহিংসতার সত্যতা পাওয়া গেছে। এ সব সহিংসতার অধিকাংশের মূলে ছিল তালেবান জঙ্গী গোষ্ঠী। বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি আফগান ভোটারদের নির্বাচন থেকে দূরে থাকার সতর্ক করে জনসমক্ষে বিবৃতি দিয়েছিল এবং তাদের যোদ্ধাদের নির্বাচনী নিরাপত্তায় নিয়োজিত বাহিনীর পাশাপাশি সংগঠকদের আক্রমণ করার নির্দেশ দিয়েছিল।

রিপোর্ট অনুযায়ী, কেবল ভোট গ্রহণের দিনই ২৮ বেসামরিক লোক নিহত এবং ২৫০ জন আহত হয়েছিল। তাদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি শিশু ছিল। ইউএনএমএ প্রতিবেদনে নাগরিক হতাহতের দলিলের পাশাপাশি নির্বাচনের আগে এবং সময়কালে নাগরিকদের বিরুদ্ধে তালেবানদের দ্বারা অপহরণ, হুমকি, ভয় দেখানো ও হয়রানির একটি চিত্রও তুলে ধরেছে।

রিপোর্ট প্রকাশ পরবর্তী এক বিবৃতিতে ইউএনএমএ সভাপতি তাদামিচি ইয়ামামোটো বলেছেন, অনেক আফগান মানুষ হুমকিকে প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। তাদের এই সাহসী পদক্ষেপ প্রশংসার দাবিদার। এ সময় তিনি আফগানিস্তানের ভোটার, নির্বাচনকর্মী, নির্বাচনী সমাবেশ ও ভোট কেন্দ্রে তালেবানদের হামলাকে অগ্রহণযোগ্য এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করেছেন।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রথম দফার ফলাফল এখনও প্রকাশিত হয়নি। নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশে বিলম্বের কারণে ২ প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী আবদুল্লাহ আবদুল্লাহ এবং গুলবুদ্দিন হেকমতিয়ার আফগানিস্তানের নির্বাচন কমিশনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানির বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন।

এদিকে নির্বাচন কমিশন বলেছে, নির্বাচনে ২৬ হাজারের বেশি বায়োমেট্রিক মেশিন ব্যবহার করা হয়েছে। এসব মেশিন থেকে তথ্য সার্ভারে স্থানান্তরের সময় যান্ত্রিক গোলযোগ দেখা দেওয়ায় ফলাফল প্রকাশে সময় লাগছে। চলতি মাসের শেষ নাগাদ ফলাফল প্রকাশ করা হতে পারে।

একুশে জার্নাল/ইএম/১৬-১