দিল্লিকে তুষ্ট করতে একের পর এক দেশবিরোধী চুক্তি করা হচ্ছে: খেলাফত মজলিস
একুশে জার্নাল ডটকম
অক্টোবর ০৬ ২০১৯, ২০:১৯

তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যার কোন সুরাহা না করে বাংলাদেশের ফেনী নদীর পানি ভারতে ব্যবহারের সুযোগ দিয়ে করা চুক্তিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে এ চুক্তির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে খেলাফত মজলিসের আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ ইসহাক ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেছেন, ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যে দিল্লিকে তুষ্ট করতে শেখ হাসিনা সরকার একের পর এক দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি করে যাচ্ছে। দিল্লিকে তুষ্ট করতে শেখ হাসিনার সর্বশেষ নজরানা হচ্ছে ফেনী নদীর পানি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গিয়ে বাংলাদেশের জন্যে কিছুই আনতে পারেন না শুধু ভারতকেই দিয়ে আসেন। ভারতের ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাশের উত্তরাঞ্চল মরুভূমিকে পরিনত হয়ে যাচ্ছে। ভারত বাংলাদেশকে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা দিচ্ছে না। এমনকি তিস্তার বিষয়ে কার্যকর আলোচনার ন্যূনতম আগ্রহও দেখাচ্ছে না ভারত সরকার। আসাম, পশ্চিমবঙ্গে ভারতে এনআরসি নিয়ে বাংলাদেশের সৃষ্ট উদ্বেগ নিরসনে কোন সাড়া মেলেনি। রোহিঙ্গা সংকট নিরসনেও বাংরাদেশের পাশে নেই ভারত। কিন্তু বাংলাদেশের স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে শুধুমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্যে শেখ হাসিনা সরকার একের পর এক ভারতকে নজরানা দিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের ফেনী নদী থেকে প্রতি সেকেন্ডে ১.৮৬ কিউসেক পানি প্রত্যাহারের সুযোগ দেয়া হচ্ছে ভারতকে। এ ছাড়া বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করার সুযোগ দেয়া হয়েছে ভারতকে। বাংলাদেশ উপকূলে ভারতের রাডার সিস্টেম স্থাপন। বাংলাদেশে উপর দিয়ে ভারতের এক রাজ্য থেকে আরেক রাজ্যে ট্রেন চলাচলের সুযোগ। এভাবে একর পর এক দেশের স্বার্থবিরোধী চুক্তি বা সমঝোতা দেশবাসী কোন ভাবেই মেনে নেবে না।
বিবৃতিতে নেতৃদ্বয় তিস্তাসহ অভিন্ন নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা পাওয়ার আগ পর্যন্ত ভারতকে ফেনী নদীর পানি প্রত্যাহারের সুযোগ না দেয়ার দাবী জানান। একই সাথে বাংলাদেশের সমুদ্রবন্দর ব্যবহার, বাংলাদেশ উপকূলে ভারতের রাডার স্থাপনের সুযোগ প্রদানসহ সকল স্বার্থ বিরোধী চুক্তি ও সমঝোতা স্মারখ বাতিলের জোর দাবী জানান।
একুশে জার্নাল/ইএম