সাগরে ৩৬ বাংলাদেশি নিহতের ঘটনা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার
একুশে জার্নাল ডটকম
জুন ০২ ২০২০, ১৪:৫২

নিজস্ব প্রতিবেদন :: বিদেশে পাঠানোর নামে ৩৬ বাংলাদেশি নাগরিককে ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবিতে নিহত মামলার প্রধান আসামি রফিকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-৯।
সিলেটের বিশ্বনাথ থেকে সোমবার বিকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়। র্যাব-৯ এর মুখপাত্র এএসপি ওবাইন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে সাংবাদিকদের জানান, আসামি রফিকুল ইসলাম মানবপাচার সংক্রান্ত ৬ মামলার আসামি। আসামিকে র্যাবের হেফাজতে রয়েছে। ২০১৯ সালের ১১ মে ট্রলার ভূমধ্যসাগরে ট্রলার ডুবির ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন ৩৬ বাংলাদেশি।
জানা যায়, দেশের মানবপাচার চক্রের অন্যতম শীর্ষ আসামি রফিকুলের বিরুদ্ধে মামলা করায় বাদীকে অস্ত্র দিয়ে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল মানবপাচারকারী চক্র। এ ব্যাপারে রফিকুলসহ তার ৫ সহযোগীর বিরুদ্ধে বিশ্বনাথ থানায় ২০১৯ সালের ২৮ নভেম্বর মামলা দায়ের করা মামলা নং ২১।
উপজেলার নওধার মাঝপাড়া গ্রামের ইলিয়াস আলীর পুত্র রেজাউল ইসলাম রাজু মামলাটি দায়ের করেছিলেন। এতে মামলার প্রধান আসামী উপজেলার কাঠালীপাড়া গ্রামের মৃত চমক আলীর পুত্র রফিকুল ইসলামকে প্রধান আসামি ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলার তেতলী চেরাগী গ্রামের সৈয়দ আলীর পুত্র শাহিন আহমদকে আসামি করা হয়।
এই মামলায় গ্রেফতার করা হয় মানবপাচার চক্রের মূল হোতা রফিকুলের সহযোগী রাজনগর গ্রামের মৃত আতর আলীর পুত্র আবদুল কাদির, রামপাশা গ্রামের মৃত আবদুল মানিকের পুত্র আলী হায়দার মহুরী, বিশ্বনাথ নতুন বাজার এলাকার বাসিন্দা আসু মিয়ার পুত্র আবুল কালামকে।
এদিকে ২০১৯ সালের ১৬ মে মানব পাচার প্রতিরোধ দমন আইনে আরেকটি মামলাও হয় রফিকুলের বিরুদ্ধে মামলা নং ৮।
মানব পাচার ও ইউরোপ নেওয়ার শর্তে অনেককে আশাবাদী করে কোটি টাকার লোপাট হওয়ার ঘটনা নিত্য নতুন নয়। বিশেষত সিলেটের বিয়ানীবাজার, মৌলভীবাজার ও বড়লেখায় মানবপাচার ও বিদেশে পাঠানোর নামে একটি অপশক্তি সিন্ডিকেট কাজ করছে। প্রবাসী বন্ধু খ্যাত বড়লেখার মোসকে আম্বরের আহমেদ রিয়াজ এই অপশক্তির কর্ণধার। সম্প্রতি একটি মামলায় পলাতক আহমেদ রিয়াজকে সিলেট চীফ জুডিশিয়াল আদালত ২ বছরের কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকার অর্থ দণ্ড প্রদান করেন। মামলা নং সি. আর ৯১০/১৬। এ চক্রের এমন অভিনয় ও আশাজাগানিয়া পন্থা অবলম্বন অনেক তরুণ-যুবাদের পরিবার পরিজনকে করেছে নিঃস্ব, বিপন্ন।