এরশাদের ধর্মীয় যত কাজ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

জুলাই ১৪ ২০১৯, ২৩:২৩

ইলিয়াস সারোয়ার:

চলে গেলেন বাংলাদেশের উন্নয়নের কারিগর কিংবদন্তি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। আজ ১৪ জুলাই সকাল পৌনে ৮টায় ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন তিনি।

দীর্ঘ ৯ বছর বাংলাদেশের রাষ্ট্রপ্রধান থাকাকালে ধর্মীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ক্রীড়া এবং সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে তার নেয়া কার্যক্রম ও  সংস্কারমূলক কর্মকাণ্ড দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বাংলাদেশের ইতিহাসে।

আসুন একনজরে জেনে নিই সরকারে থাকাকালীন ইসলামের জন্য হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের কিছু অবদান-

১) শুক্রবারকে সাপ্তাহিক ছুটি ঘোষণা

এরশাদ ক্ষমতা গ্রহণের আগে অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেরও রোববার ছিল সাপ্তাহিক ছুটি। তিনি গরিবের হজ ‘জুমার নামাজ’ -কে প্রাধান্য দিয়ে শুক্রবারকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন ঘোষণা করেন।

২) রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম ঘোষণা

সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানদের বাংলাদেশে ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম ঘোষণা দেন পল্লীবন্ধু এরশাদ।

৩) উপাসনালয় ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিল মওকুফ

ক্ষমতা অধিগ্রহণের পর হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ মসজিদ, মাদরাসাসহ সব ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ ও পানির বিল মওকুফ করেন।

৪) জাকাত তহবিল ও ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট

জাকাত তহবিল ও জাকাত বোর্ড গঠন করেন এরশাদ। দুই কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে হিন্দু ধর্মকল্যাণ ট্রাস্ট এবং বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানধর্মের প্রত্যেকটির জন্য এক কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়ে দুটি পৃথক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেন।

৫) ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা

হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। যা শিক্ষাক্ষেত্রে তার যুগান্তকারী অবদান।

৬) মাদরাসাসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আর্থিক সুবিধা

প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কলেজশিক্ষকদের আর্থিক সুবিধা ৭০ শতাংশ বৃদ্ধি করেন এরশাদ।

৭) বায়তুল মোকাররমের উন্নয়ন

বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের ভবন সম্প্রসারণ এবং সৌন্দর্যবর্ধন করেন এরশাদ।

এছাড়াও সারা দেশে ৫৬৮টি গুচ্ছগ্রাম স্থাপন করে ২১ হাজার ছিন্নমূল ভূমিহীন পরিবারকে পুনর্বাসন, স্বাস্থ্য সেবা সম্প্রসারণ, রাস্তা ও সেতু নির্মাণ, বিচারব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন, কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচির আওতায় গ্রামাঞ্চলের রাস্তাঘাটের ব্যাপক উন্নয়ন, রেল ও বিমান যোগাযোগ উন্নয়ন, উন্নত ডাকব্যবস্থা নিশ্চিতকরণসহ নানামুখী মহৎ ও উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন তিনি ৷ ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এসব নিঃসন্দেহে উত্তম ও পুণ্যের কাজ বলে গণ্য ৷