৭১ টিভিতে রাকিব আমাকে জড়িয়ে মিথ্যাচার করেছে
একুশে জার্নাল
সেপ্টেম্বর ২২ ২০২০, ২২:৪৯
মিথ্যাচারের জবাব
মিথ্যুক কখনো আলেম হতে পারেননা – রিজওয়ান আরমান
৭১ টিভির এক টকশোতে রাকিব নামের এক ব্যক্তি আমাকে জড়িয়ে যে মিথ্যাচার করেছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। শায়খুল ইসলাম আল্লামা আহমদ শফি সাহেব রহঃ এর মৃত্যু নিয়ে একটি দালাল গুষ্টি পাগলা কুকুরের মতো ঘেউ ঘেউ করছে। এখন তারা কার নাম বিক্রি করে নিজের অসাধু সাধন করবে কিংবা নিজেকে জাহির করবে তা নিয়ে তারা শংকিত।
এখন তাদের মুখোশ উন্মোচিত হয়ে গেলো।
শান্তিপূর্ণ ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন বাহির থেকে কেউ ভিতরে প্রবেশ করা এবং ভিতর থেকে কেউ বাহিরে যাওয়া অসম্ভব একটা ব্যাপার ছিল। তাছাড়া ছাত্র আন্দোলনের শুরু লগ্নে আমি হাটহাজারী অঞ্চলের বাহিরে ছিলাম। এইটা অনেকের কাছে স্পষ্ট।
আমার প্রতিষ্ঠান এবং বাসা হাটহাজারী মাদরাসার পাশে। সে হিসেবে সর্বোপরি আমার অবস্থান মাদরাসার পাশে থাকাটাই স্বাভাবিক। স্পীকারে যখন হুযুর সুস্থ আছেন মর্মে হুযুরের নাতি ওয়াজাহাত করছিলেন তখন আমি ডাক বাংলো রোডে সম্ভবত কয়েকজন পুলিশ ভাইয়ের সাথে কথা বলতেছিলাম। বাকি সময়ে অন্য দশজন ব্যক্তির মতো দর্শকের ভূমিকায় ছিলাম।
আল্লামা আহমদ শফি রহিমাহুল্লাহ আমার উস্তাজ এবং শায়খ। হযরতের সাহেবজাদা আনাস আর আমি
শুরু থেকে তাকমিল পর্যন্ত একই ব্যাচের হওয়াতে আমাদের মাঝে একটা সুসম্পর্ক ছিল। ২০০২ সালের পর থেকে আমি ভিন্ন মাদরাসায় খেদমত থাকাকালীন বিভিন্ন সাংগঠনিক কর্মকান্ডে একত্রিত হলেও কোন সময় আদর্শিকভাবে এক ছিলামনা। সেইটা প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে।
আমি কোন সময় কারো বিরুদ্ধাচারণ করিনা এবং নিজেকে ব্যক্তিগতভাবে হাইলাইটস করার চেষ্টাও করিনা। মরহুম মাওঃ কাতেব সোলাইমান আরমান রহ. যেমন নিষ্কলুষ ভাবে সাদামাটা জীবন অতিবাহিত করে গেছেন, তেমনি তিনার ছেলেদেরও সেভাবে জীবন যাপনের নসীহা করে গেছেন। আমরাও তা পালনে যথাসাধ্য চেষ্টা করি।
বর্তমান সময়ে আমি এবং আমাদের পরিবার
(আরমান ফ্যামিলি) নিয়ে অনেক দালাল গুষ্টির চুলকানি দেখতে পাচ্ছি। কি কারনে তাদের এ-ই চুলকানি তারও অনুসন্ধান করার চেষ্টা করছি।
দালাল রাকিব আমাকে নিয়ে যে মিথ্যাচার করেছে তা নিঃসন্দেহে অন্য কোন দালালের শিখিয়ে দেয়া বুলি। কেননা! রাকিবের সাথে আমার ব্যক্তিগতভাবে যেমন সম্পর্ক নেই, তেমন দুশমনিও নেই। সে হয়তো আমার নামও জানতোনা। সে আমার অনেক জুনিয়র।
এ-ই পর্যন্ত ঘটে যাওয়া অপ্রত্যাশিত অভিযোগটা আমার মানহানি হলেও আমি নিজেকে সংযত রাখার চেষ্টা করেছি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, অনাকাঙ্ক্ষিত অভিযোগ প্রত্যাহার না করলে, কিংবা আমি হয়রানি মূলক কোন পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে আমিও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে বাধ্য হবো।
ছাত্র আন্দোলন এবং শায়খুল ইসলামের মৃত্যু নিয়ে যারা ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের স্বপ্ন দেখছেন, তাদেরকে সতর্ক হয়ে যাওয়ার আহবান করছি। দয়া করে একই গুষ্টিতে বিবাদ সৃষ্টি করবেননা। কওমিকে অনেক অপব্যবহার করেছেন। এবার কওমি অঙ্গনকে স্বগৌরবে চলার সুযোগ দিন। আল্লাহ সবাইকে হেদায়াত দান করুন।