একুশে জার্নাল ডেস্ক: দীর্ঘ ৫ বছর ধরে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীর পাসপোর্টটি জব্দ করে রেখেছে সরকার। এতে সারাদেশে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীসহ আলেম ওলামাগণ প্রচণ্ড ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

এদিকে গতকাল হেফাজত মহাসচিব ও আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার সহকারী পরিচালক আল্লামা বাবুনগরী (৭০) অসুস্থ হয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

শনিবার বিকালে তাকে রিজেন্ট এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে করে ঢাকায় আনা হয়েছে। হেফাজত মহাসচিব বার্ধক্যজনিত রোগসহ দীর্ঘদিন যাবৎ হৃদরোগ, ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে উন্নত চিকিৎসার অভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।

দ্রুত তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো জরুরী কিন্তু বাবুনগরীর পাসপোর্ট সরকারের আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে জব্দ থাকায় তিনি দেশের বাহিরে যেতে পারছেন না। গত ৫ বছর ধরে অনেক চেষ্টা তদবির করেও পাসপোর্ট ফেরত পাননি তিনি। সরকার তার ব্যক্তিগত পাসপোর্ট জব্দ করে রেখেছে।

গতকাল আল্লামা বাবুনগরীর অবস্থার অবনতি হওয়া জরুরি ভিত্তিতে প্লেইনে করে ঢাকায় আনা হয় ।

আল্লামা জুনাইদ বাবুনগরী হাজার হাজার ছাত্র রয়েছেন সারা পৃথিবীজুড়ে। তাছাড়া হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের নেতাকর্মীরা উনাকে নিজেদের চেয়ে বেশী ভালোবাসেন। এবার যদি পাসপোর্ট ফেরত দেয়া না হয়, তাহলে আলেম-ওলামা ও সাধারণ তৌহিদি জনতার পক্ষ থেকে কঠোর কর্মসূচি দেয়ার হুশিয়ারি দেন সারাদেশের আলামে ওলামা ও হেফাজতে ইসলামসহ ইসলামপন্থী নেতা-কর্মীরা। এতে সরকার আরেকটি বড় বিপর্যয়ের মুখে পরতে পারে বলে বিশিষ্ট জনেরা জানিয়েছেন।

চিকিৎসা ছাড়াও অনেক্কবার তিনি হজ,ওমরা করার জন্য দেশের বাহিরে যেতে চেয়েছিলেনন। কিন্তু সরকার পাসপোর্ট না দেয়ায় সেটা সম্ভব হয়নি।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে প্রতিষ্ঠিত ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম ব্যাপক আলোচনায় আসে ২০১৩ সালে। কথিত নাস্তিক ব্লগারদের বিচার চেয়ে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে লংমার্চ করে সাংগঠনিক শক্তির জানান দেয় অরাজনৈতিক এই সংগঠনটি।

তবে ওই বছরের ৫ মে শাপলা চত্বরের ঘটনার পর সংগঠনটির মহাসচিব আল্লামা বাবুনগরী গ্রেফতার হয়েছিলেন। সে সময় তার পাসপোর্টটি নিয়ে নেয়া হয়।

তবে কী কারনে ৫ ধরে পাসপোর্ট জব্দ করে উনাকে উন্নত চিকিৎসায় বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে সেটারও কোন ব্যাখ্যা এখন পর্যন্ত সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়নি।