হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা মহনগর কমিটি সম্প্রসারণ এবং পুনঃবিন্যাস করা হয়। এছাড়াও চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়।

আজ (৩১ অক্টোবর) সোমবার সকাল ১০টায় আল জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম হাটহাজারীতে সংগঠনের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

হেফাজতের আমীর আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরীর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতের সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা মুহাম্মদ ইয়াহইয়া, নায়েবে আমীর মাওলানা সালাউদ্দিন নানুপুরী, মাওলানা আব্দুল আউয়াল, মুফতি জসিম উদ্দিন, মাওলানা ফুরকানুল্লাহ খলিল, মহাসচিব মাওলানা শায়খ সাজিদুর রহমান, মাওলানা মাহমুদুল হাসান ফতেহপুরী, মাওলানা জহুরুল ইসলাম, মাওলানা মুহিউদ্দিন রাব্বানী, মাওলানা মীর ইদরীস, মুফতি মোহাম্মদ আলী, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সুবাহানী, মুফতি কিফায়াতুল্লাহ আজহারী, সাইয়েদ মাহফুজ খন্দকার, মাওলানা রাশেদ বিন নূর।

বৈঠকে কারাবন্দী হেফাজত নেতা-কর্মীদের মুক্তি ও হেফাজতের নামে ২০১৩ সাল থেকে আজ পর্যন্ত হওয়া সকল মামলা প্রত্যাহার করার জন্য প্রধানমন্ত্রী বরাবর আমীরে হেফাজতের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়াও আগামী ১৭ ডিসেম্বর রাজধানী ঢাকায় হেফাজতের উদ্যোগে জাতীয় উলামা মাশায়েখ সম্মেলন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী ও কেন্দ্রীয় দাওয়াহ সম্পাদক মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানীকে যুগ্ম মহাসচিব করা হয়। এছাড়াও মুফতী কিফায়াতুল্লাহ আযহারীকে প্রচার সম্পাদক ও মাওলানা রাশেদ বিন নূরকে দফতর সম্পাদক করা হয়। বৈঠকে ব্যক্তি উদ্যোগে জাতীয় পর্যায়ের যেকোনো কাজে হেফাজতের পদ পদবী ব্যবহার না করার জন্য আমীরে হেফাজত সকল দায়িত্বশীলদের সতর্ক করেন। জেলা কমিটি গঠন করার জন্য মহাসচিব মাওলানা সাজিদুর রহমানকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট সাব কমিটি গঠন করা হয়। এতে আরো আছেন, মাওলানা মুহিউদ্দীন রাব্বানী, মাওলানা মীর ইদরীস, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম সোবহানী ও মুফতী কিফায়াতুল্লাহ আজহারী।

কেন্দ্রীয় কমিটিতে যাদের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে ইসলামিক রিসার্চ সেন্টার বসুন্ধার পরিচালক মুফতী আরশাদ রহমানী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ সভাপতি মাওলানা আবদুল বাসির সুনামগঞ্জ, মাওলানা শাহাদত হোসেন রাঙ্গুনিয়া, মাওলানা খোবাইব, হাটহাজারী জামিযার শিক্ষক মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরী, মাওলানা আবদুল কাদের আমলাপারা, রংপুর জুম্মাপাড়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা ইউনুস রংপুর, মাওলানা শওকত হোসেন সরকার নরসিংদী, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমীর মাওলানা সাঈদ নূর মানিকগঞ্জ, মাওলানা আকরাম আলী ফরিদপুর, মাওলানা হেলাল উদ্দিন ফরিদপুর, হাটহাজারী জামিযার শিক্ষক ড. মাওলানা নুরুল আবসার আজহারী, মুফতী কিফায়েতুল্লাহ আজহারী, মাওলানা তৈয়ব হালীম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মুফতী মাসুদুল করীম, মাওলানা নূরুর রহমান বেগ বরিশাল, মাওলানা নিজামদ্দীন নোয়াখালী, মাওলানা আবদুল মা’বুদ বাগেরহাট,মাওলানা মুসলিম কক্সবাজার, মাওলানা বোরহান উদ্দীন কাসেমী বি-বাড়িয়া, মাওলানা আনওয়ার চকরীয়া, মাওলানা কেফায়েতউল্লাহ টেকনাফ, মাওলানা ইয়াহহিয়া নাজিরহাট, মাওলানা শাসমুল ইসলাম জিলানী, মাওলানা আব্দুল্লাহ পোরশা, মাওলানা শরিফ ঠাকুরগাঁও, যুব জমিয়তের সভাপতি মাওলানা তাফহিমুল হক হবিগঞ্জ,মাওলানা জুনাইদ বিন ইয়াহিয়া, মাওলানা রাশেদ বিন নূর।

ঢাকা মহানগর কমিটিতে যাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে– জামিয়া ইসলামিয়া লালমাটিয়ার মুহতামিম মাওলানা মুহাম্মদ ফারুক আহমদ, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমীর মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা লোকমান মাযহারী, মাওলানা আব্দুল্লাহ (ব্যাংক কলনী মাদরাসা, সাভার), মাওলানা ইউসুফ সাদিক হক্কানী, মাওলানা আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়া, মাওলানা ইলিয়াস হামিদী, মাওলানা ওয়াহিদুর রহমান (পীরজঙ্গি মাদরাসা), মাওলানা যুবায়ের আহমদ (ওয়াহেদীয়া মাদরাসা, মোহাম্মদপুর), মাওলানা জসীমউদ্দীন (খতীব, চকবাজার ছোট মসজিদ), মুফতী জুবায়ের রশিদ (খতীব, দুদক জামে মসজিদ)।

চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক কমিটি– মাওলানা তাজুল ইসলামকে আহবায়ক এবং মাওলানা মাওলানা লোকমান হাকিমকে সদস্য সচিব করে ১৭ সদস্য বিশিষ্ট চট্টগ্রাম মহানগর আহবায়ক কমিটি গঠন করা হয়। মাওলানা ফোরকানুউল্লাহ খলীল, মাওলানা আলী ওসমান, মাওলানা হারুন (শোলকবহর), মাওলানা মুনীর উদ্দিন (হালিশহর), মাওলানা ইয়াসিন (লাভলেইন), মাওলানা হাসান মুরাদাবাদী, মুফতি শিহাব উদ্দিন ইসপাহানী, মাওলানা আনোয়ার রব্বানী,মাওলানা এনায়েতুল্লাহ (দামপাড়া), মাওলানা সায়েমুল্লাহ, মাওলানা ফয়সাল বিন তাজুল ইসলাম,মাওলানা জাকারিয়া মাদানী,মাওলানা জয়নাল কতুবী, মাওলানা শহিদুল ইসলাম, মাওলানা মানজুরুল কাদের।