হায়াতে তাইয়্যেবাহ তথা উত্তম জীবনযাপনের উপকরণ

একুশে জার্নাল

একুশে জার্নাল

ডিসেম্বর ০৯ ২০২০, ০৪:২৩

আব্দুল কাদির আল মাহদি, (বার্সেলোনা) স্পেন: আল্লাহ তা’আলা কোরাআনে পাকে বলেন-

مَنْ عَمِلَ صَالِحًا مِنْ ذَكَرٍ أَوْ أُنْثَىٰ وَهُوَ مُؤْمِنٌ فَلَنُحْيِيَنَّهُ حَيَاةً طَيِّبَةً ۖ وَلَنَجْزِيَنَّهُمْ أَجْرَهُمْ بِأَحْسَنِ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ

যে সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং সে ঈমাণদার, পুরুষ হোক কিংবা নারী আমি তাকে পবিত্র জীবন দান করব এবং প্রতিদানে তাদেরকে তাদের উত্তম কাজের কারণে প্রাপ্য পুরষ্কার দেব যা তারা করত। (আল কোরআন ১৬/৯৭)

এ ব্যপারে আল্লাহ তা’আলার ওয়াদা- যারা নেক আমাল করবে পুরুষ অথবা মহিলা হওক, হায়াতে তাইয়্যেবাহ তথা উত্তম জীবনযাপন লাভ করবে।

হায়াতে তাইয়্যেবা তথা স্বচ্ছ, উত্তম জীবনযাপন প্রত্যেক মানুষের চাহিদা, দাবি বা ইচ্ছা। জীবনে এর বাস্থবতা পাওয়ার জন্য মানুষ নিজের ঘরে ও কাজে কর্মে চেষ্টা করতে থাকে। হায়াতে তাইয়্যেবার জন্য চাওয়া থাকে ঘরে ও বাহিরে। এমনকি বন্ধু-বান্ধব বা আত্মীয় সমাজে। এটাকে ভাগ্যের চাবিকাটি বিবেচনা করা হয়ে থাকে।

****হায়াতে তাইয়্যেবা হচ্ছে-

এটি এমন একটি উপাদান যার কারণে মানুষ খুব স্বচ্ছ জীবনযাপন করে। প্রশস্ত, উদার মন থাকে। শান্তিতে দিল ভরপুর থাকে। পুরা জীন্দেগী প্রশান্তিতে নিমজ্জিত থাকে। আনন্দ ও সতেজতায় পরিণত হয় পুরো জীবন। আত্মার প্রশান্তি থাকে। উপরোক্ত সবগুলো হায়াতে তাইয়্যেবার জন্য জরুরী।

এখন জানা দরকার হায়াতে তাইয়্যেবাহ তথা উত্তম জীবনযাপনের উপকরণগুলো কী কী?

***ঈমান হচ্ছে হায়াতে তাইয়্যেবাহ’র সর্বোত্তম একটি উপকরণ। আল্লাহ তা’আলা বলেন-

مَا أَصَابَ مِنْ مُصِيبَةٍ إِلَّا بِإِذْنِ اللَّهِ ۗ وَمَنْ يُؤْمِنْ بِاللَّهِ يَهْدِ قَلْبَهُ ۚ وَاللَّهُ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ

আল্লাহর নির্দেশ ব্যতিরেকে কোন বিপদ আসে না এবং যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস করে, তিনি তার অন্তরকে সৎপথ প্রদর্শন করেন। আল্লাহ সর্ববিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত। (আল কোরাআন ৬৪/১১)

যাদের দিলের ভিত্তি হবে ঈমান এবং ভাল কাজ তথা নেক আমাল করবে। আল্লাহ তা’আলা তাদেরকে দুনিয়াতে হায়াতে তাইয়্যেবাহ দ্বারা আরও উঁচু মার্যাদাবান বানিয়ে দিবেন। তাছাড়া আখেরাতে প্রশংসিত স্থানে সমাসীন করাবেন। আল্লাহ তা’আলা বলেন-

‎الَّذِينَ آمَنُوا وَعَمِلُوا الصَّالِحَاتِ طُوبَىٰ لَهُمْ وَحُسْنُ مَآبٍ

যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের জন্যে রয়েছে সুসংবাদ এবং মনোরম প্রত্যাবর্তণস্থল। (আল কোরআন ১৩/২৯)

অর্থাৎ তাদের জীবন হবে সচ্ছ এবং তারা জীবনের প্রতিটি স্টেপ সুন্দরভাবে কাজে লাগাতে পারবে। জীবনকে আল্লাহ তা’আলার এতায়াত দিয়ে সাজাতে পারবে। সালাত সমূহের হেফাজত করবে। আর এ সবের ভিতর তারা শান্তি ও সুখ অনুভব করবে।

***হায়াতে তাইয়্যেবার আরেকটি উপকরণ হচ্ছে সালাত। সালাতের মাধ্যমে একজন মুমিন প্রশান্তি লাভ করতে পারে। এই কারণে আমাদের প্রিয় নাবী (সা) বলেন-

يَا بِلَالُ أَقِمِ الصَّلَاةَ أَرِحْنَا بِهَا

হে বিলাল। আযান দাও, আমরা সলাতের মাধ্যমে প্রশান্তি লাভ করবো। (সুনানে আবু দাউদ)

কারণ সালাত হচ্ছে আল্লাহ তা’আলার জিকির হতে সব চেয়ে উত্তম জিকির। যার মাধ্যমে অন্তরের প্রশান্তি আসে। আল্লাহ তাআলা বলেন-

‎الَّذِينَ آمَنُوا وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُمْ بِذِكْرِ اللَّهِ ۗ أَلَا بِذِكْرِ اللَّهِ تَطْمَئِنُّ الْقُلُوبُ

যারা বিশ্বাস স্থাপন করে এবং তাদের অন্তর আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।(আল কোরআন ১৩/২৮)

***হায়াতে তাইয়্যেবার আরেকটি উপকরণ হচ্ছে- কোরআন তেলাওয়াত, কোরআন পড়া, কোরআনের অর্থ বুঝা। কোরআনের সাথে বিশেষ সম্পর্ক দ্বারা অন্তরে প্রশান্তি লাভ হয়। এই জন্য রাসুল (সা) রাতদিন কোরআন তেলাওয়াত মশগুল থাকতেন। এসব দেখে আল্লাহ তা’আলা আয়াত নাজিল করে দিয়ে ঘোষণা দিলেন-

‎مَا أَنْزَلْنَا عَلَيْكَ الْقُرْآنَ لِتَشْقَىٰ

আপনাকে ক্লেশ দেবার জন্য আমি আপনার প্রতি কোরআন অবতীর্ণ করিনি। (আল কোরআন ২০/২)

কাজেই মানুষ যত বেশি কোরআন তেলাওয়াত করতে থাকবে, ততটাই তার জবান ভাল থাকবে। অন্তর প্রশান্ত থাকবে। রাসুল (সা) বলেন-

مَثَلُ الْمُؤْمِنِ الَّذِي يَقْرَأُ الْقُرْآنَ كَمَثَلِ الأُتْرُجَّةِ؛ رِيحُهَا طَيِّبٌ وَطَعْمُهَا طَيِّبٌ

কুরআন পাঠকারী মু’মিনের দৃষ্টান্ত কমলার মত, যার ঘ্রাণও চমৎকার স্বাদও মজাদার। (সহিহ বুখারী)

***হায়াতে তাইয়্যেবার আরেকটি উপকরণ হচ্ছে- হালাল উপার্জন ও হালাল খাবার গ্রহণ করা। আল্লাহ তা’আলার বাণী-

‎وَكُلُوا مِمَّا رَزَقَكُمُ اللَّهُ حَلَالًا طَيِّبًا ۚ وَاتَّقُوا اللَّهَ الَّذِي أَنْتُمْ بِهِ مُؤْمِنُونَ

আল্লাহ তা’য়ালা যেসব বস্তু তোমাদেরকে দিয়েছেন, তন্মধ্য থেকে হালাল ও পবিত্র বস্তু খাও এবং আল্লাহকে ভয় কর, যার প্রতি তোমরা বিশ্বাসী। (আল কোরআন ৫/৮৮)

রিজিক তালাশের ক্ষেত্রে একজন মানুষের তাক্বওয়া হচ্ছে ব্যক্তি তার কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে চেষ্টা চালাবে। লেনদেনের ক্ষেত্রে সততা থাকতে হবে এবং আমানতের যথাযত রক্ষণাবক্ষণ থাকতে হবে। এমন রুজি থেকে যখন যাকাত আদায় করবে, তার যাকাত কবুল করা হবে। সাদাকা করলে আল্লাহ তা’আলা সাদাকাকে আরো বহুগুণ বাডিয়ে দিবেন। রাসুল (সা) বলেন-

مَنْ تصدَّقَ بعدْلِ تمرَةٍ مِنْ كسبٍ طيِّبٍ ، ولَا يقبَلُ اللهُ إلَّا الطيِّبَ ، فإِنَّ اللهَ يتقبَّلُها بيمينِهِ ، ثُمَّ يُرَبيها لصاحبِها ، كما يُرَبِّى أحدُكم فَلُوَّهُ حتى تكونَ مثلَ الجبَلِ

যে ব্যক্তি হালাল কামাই থেকে একটি খেজুর পরিমাণ সদকা করবে, (আল্লাহ তা কবুল করবেন) এবং আল্লাহ তা’আলা কেবল পবিত্র মাল কবুল করেন আর আল্লাহ তাঁর ডান হাত দিয়ে তা কবুল করেন। এরপর আল্লাহ তা’আলা দাতার কল্যাণার্থে তা প্রতিপালন করেন যেমন তোমাদের কেউ অশ্ব শাবক প্রতিপালন করে থাকে, অবশেষে সেই সদকা পাহাড় বরাবর হয়ে যায়। (সহিহ বুখারী)

***হায়াতে তাইয়্যেবার আরেকটি উপকরণ হচ্ছে- নেক পরিবার। পরিবারে নেককার মহিলা ও নেক সন্তান থাকা। আল্লাহ তা’আলা বলেন-

‎الْخَبِيثَاتُ لِلْخَبِيثِينَ وَالْخَبِيثُونَ لِلْخَبِيثَاتِ ۖ وَالطَّيِّبَاتُ لِلطَّيِّبِينَ وَالطَّيِّبُونَ لِلطَّيِّبَاتِ ۚ أُولَٰئِكَ مُبَرَّءُونَ مِمَّا يَقُولُونَ ۖ لَهُمْ مَغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ

দুশ্চরিত্রা নারীকুল দুশ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং দুশ্চরিত্র পুরুষকুল দুশ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। সচ্চরিত্রা নারীকুল সচ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষকুল সচ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। তাদের সম্পর্কে লোকে যা বলে, তার সাথে তারা সম্পর্কহীন। তাদের জন্যে আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা। (আল কোরআন ২৪/২৬)

কতইনা উত্তম! তার জীবন যার আছে নেক পরিবার। আছে নেককার স্ত্রী। যারা আল্লাহ তা’আলার এতায়াতের ভিত্তিতে জীবনযাপন করে।

এই জন্য হযরত জাকারিয়্যা (আ) আল্লাহ তা’আলার কাছে অত্যন্ত বিনয়ের সাথে নেককার স্ত্রী, সন্তানের জন্য দু’আ করছেন। তাঁর ভাষায় তিনি বলেছেন-

‎ رَبِّ هَبْ لِي مِنْ لَدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً ۖ إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاءِ

হে, আমার পালনকর্তা! তোমার নিকট থেকে আমাকে পুত-পবিত্র সন্তান দান কর-নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা শ্রবণকারী। (আল কোরআন ৩/৩৮)****অন্যের প্রতি ভাল আচরণও হচ্ছে হায়াতে তাইয়্যেবাহ এর অন্যতম কারণ। ভাল আচরণ এমন একটি গুণ যার ফলাফল মানুষ জীবনের প্রতিটা পরতে পরতে পেতে থাকে। আনন্দময় জীবনযাপন করতে সহায়ক হয়। ভাল আচরণের কারণে ব্যক্তি সবার নিকট ভাল হিসেবে পরিচয় লাভ করে। কেন হবে না? রাসুল (সা) বলেন-

الكلمة الطيبة صدقة

প্রতেক ভাল কথা হচ্ছে সাদাকাহ। আল্লাহ তা’আলা ভাল কথাগুলোকে এমনভাবে কবুল করেন যে আসমানের দরজা সমূহ খুলে যায়। যার দরুন ইহা আসমানের উপরে উঠতে থাকে। আল্লাহ তা’আলা বলেন-

‎ۚإِلَيْهِ يَصْعَدُ الْكَلِمُ الطَّيِّبُ وَالْعَمَلُ الصَّالِحُ يَرْفَعُهُ

তাঁরই দিকে আরোহণ করে সৎবাক্য এবং সৎকর্ম তাকে তুলে নেয়। (আল কোরআন ৩৫/১০)

সুন্দর ও ভাল কথার এমন প্রভাব যেটা অন্যের মনের ভিতর ভালোবাসার বিজ বোপন করে। ব্যক্তির প্রতি অন্য মানুষের ভালো আচরণ পাওয়ার সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কেননা তার প্রভাব থাকে লক্ষ্যনীয়। এবং তার প্রতিদান থাকে আকাশচুম্বি। আল্লাহ তা’আলা বলেন-

‎أَلَمْ تَرَ كَيْفَ ضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا كَلِمَةً طَيِّبَةً كَشَجَرَةٍ طَيِّبَةٍ أَصْلُهَا ثَابِتٌ وَفَرْعُهَا فِي السَّمَاءِ

‎تُؤْتِي أُكُلَهَا كُلَّ حِينٍ بِإِذْنِ رَبِّهَا ۗ وَيَضْرِبُ اللَّهُ الْأَمْثَالَ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ

তুমি কি লক্ষ্য কর না, আল্লাহ তা’আলা কেমন উপমা বর্ণনা করেছেনঃ পবিত্র বাক্য হলো পবিত্র বৃক্ষের মত। তার শিকড় মজবুত এবং শাখা আকাশে উত্থিত।

সে পালনকর্তার নির্দেশে অহরহ ফল দান করে। আল্লাহ মানুষের জন্যে দৃষ্টান্ত বর্ণণা করেন-যাতে তারা চিন্তা-ভাবনা করে। (আল কোরআন ১৪/২৪,২৫)

মানুষ মুখে ভাল শব্দ উচ্চারণ করতে অভ্যস্ত হয়ে উঠলে ও মিষ্টি ও সফট কথা বলতে থাকলে, এক সময় উক্ত ব্যক্তি তার সাথি সঙ্গিদের প্রিয় পাত্র বনে যায়। এমনকি অন্য মানুষ থেকে ভাল আচরণ পাওয়ার যোগ্য হয়ে উঠে। যার দরুন হায়াতে তাইয়্যেবাহ তথা উত্তম জীবনযাপন করতে সুবিধা হয়।

কাজেই আমাদের উচিত। সুন্দর ও উত্তম জীবনযাপন জন্য উপরোক্ত সব উপকরণ অর্জনে সচেষ্ট হওয়া। যারা নেক আমাল করে তারা দুনিয়াতে সুন্দর জীবনযাপন করতে পারে। এবং পরকালে জান্নাতে প্রবেশের যোগ্য হয়। যেথায় রয়েছে উত্তম আবাসস্থল। আল্লাহ তা’আলা বলেন-

‎وَعَدَ اللَّهُ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُؤْمِنَاتِ جَنَّاتٍ تَجْرِي مِنْ تَحْتِهَا الْأَنْهَارُ خَالِدِينَ فِيهَا وَمَسَاكِنَ طَيِّبَةً فِي جَنَّاتِ عَدْنٍ ۚ وَرِضْوَانٌ مِنَ اللَّهِ أَكْبَرُ ۚ ذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ

আল্লাহ ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেনে কানন-কুঞ্জের, যার তলদেশে প্রবাহিত হয় প্রস্রবণ। তারা সে গুলোরই মাঝে থাকবে। আর এসব কানন-কুঞ্জে থাকবে পরিচ্ছন্ন থাকার ঘর। বস্তুতঃ এ সমুদয়ের মাঝে সবচেয়ে বড় হল আল্লাহর সন্তুষ্টি। এটিই হল মহান কৃতকার্যতা। (আল কোরআন ৯/৭২)

দুনিয়াতে মানুষের সাথে ভাল ব্যবহার হচ্ছে আল্লাহ তা’আলার বিশেষ অনুগ্রহ। যার উসিলায় দুনিয়াতে হায়াতে তাইয়্যেবাহ পাওয়ার অনুগ্রহ লাভ করে। এবং আখেরাতে আরও ভাল, উত্তম ও সম্মানী বাসস্থানে বসবাসের উপযোগি হয়। আল্লাহ তা’আলা বলেন-

‎وَهُدُوا إِلَى الطَّيِّبِ مِنَ الْقَوْلِ وَهُدُوا إِلَىٰ صِرَاطِ الْحَمِيدِ

তারা পথপ্রদর্শিত হয়েছিল সৎবাক্যের দিকে এবং পরিচালিত হয়েছিল প্রশংসিত আল্লাহর পথপানে। (আল কোরআন ২২/২৪)

আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে হায়াতে তাইয়্যেবাহ নিয়ামত দ্বারা যেন ধন্য করে দেন। আমিন