স্বাস্থ্যের সেই ড্রাইভার মালেকের ১৫ বছরের কারাদণ্ড

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

সেপ্টেম্বর ২০ ২০২১, ১৪:৪০

অস্ত্র আইনে করা মামলায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের গাড়িচালক আবদুল মালেক ওরফে বাদলের পৃথক দুই ধারায় ১৫ বছর করে মোট ৩০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে উভয় কারাদণ্ড একই সংগে চলবে। যে কারণে তাকে ১৫ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম-এর আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম-এরর আদালত রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন।

গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর রাজধানীর তুরাগ থানাধীন কামারপাড়াস্থ ৪২ নম্বর বামনেরটেক হাজী কমপ্লেক্সের তৃতীয় তলার বাসা থেকে আব্দুল মালেককে গ্রেফতার করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, দেড় লাখ বাংলাদেশি জাল নোট, একটি ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় র‌্যাব-১ এর পুলিশ পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, রাজধানীর তুরাগে গাড়িচালক আবদুল মালেকের রয়েছে ২৪টি ফ্ল্যাটবিশিষ্ট সাত তলার দুটি বিলাসবহুল বাড়ি। একই এলাকায় ১২ কাঠার প্লট। এছাড়া হাতিরপুলে ১০ তলা ভবনের নির্মাণকাজ চলছে।

এতে আরো বলা হয়েছে, অধিদফতরের কর্মচারী হলেও মালেক ছিলেন প্রভাবশালী। তিনি অধিদফতরের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ, বদলি নিয়ন্ত্রণ করতেন। তার কথামতো কর্মকর্তারা কাজ না করায় তাদের নানাভাবে হয়রানি বা শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।

আরো উল্লেখ করা হয়, মালেক একজন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হলেও নিজে ব্যবহার করতেন পাজেরো গাড়ি। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদফতরের যেসব চালক আছেন, তাদের তেল চুরির টাকার বেশিরভাগই মালেকের পকেটে যেতো।

চলতি বছর ১১ জানুয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক মেহেদী হাসান চৌধুরী ড্রাইভার মালেককে একমাত্র আসামি করে অস্ত্র মামলায় চার্জশিট আদালতে দাখিল করেন। পরে ১১ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ-এর আদালত আসামি মালেক-এর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে মামলাটির বিচারের জন্য আদেশ দেন।

মামলায় ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। ৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ-এর আদালত এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায় শেষ করেন। এরপর ৬ সেপ্টেম্বর মামলাটি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল আলম-এর আদালতে পরবর্তী বিচার কাজের জন্য বদলির আদেশ দেওয়া হয়।

র‌্যাবের জানিয়েছে, মালেক পেশায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলের একজন ড্রাইভার এবং তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী। তার শিক্ষাগত যোগ্যতা ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত। তিনি ১৯৮২ সালে সর্বপ্রথম সাভার স্বাস্থ্য প্রকল্পে ড্রাইভার হিসেবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৬ সালে স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিবহন পুলে ড্রাইভার হিসেবে চাকরি শুরু করেন।