স্ত্রী নির্যাতনের অভিযোগে ডা. মুরাদের বাসায় পুলিশ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ০৬ ২০২২, ১৯:২৪

জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশের সহযোগিতা চেয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসান।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে তিনি ফোন করে জানান, তাকে মারধর করা হচ্ছে। এমনকি প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।

৯৯৯ থেকে বিষয়টি ধানমন্ডি থানা পুলিশকে জানানো হয়। এরপরই পুলিশের একটি দল মুরাদ হাসানের ধানমন্ডি নতুন ১৫ নম্বর সড়কের বাসায় যায়।

ধানমন্ডি থানার ওসি ইকরাম আলী মিয়া জানান, ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানের ১৫ নম্বর সড়কের বাসায় পুলিশ পাঠানো হয়েছে। স্বামীর বিরুদ্ধে নির্যাতন ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগ আনেন তিনি।

এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ডা. মুরাদ হাসানের স্ত্রী ডা. জাহানারা এহসানের তার সাধারণ ডায়েরিতে জানান, আমার স্বামী সরকারের সংসদ সদস্য এবং সাবেক প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। সাম্প্রতিক সময়ে আমার স্বামী কারণে-অকারণে আমাকে এবং আমার সন্তানদের অকথ্য বাসায় গালিগালাজসহ শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে। এমনকি হত্যার হুমকিও প্রদান করছে। ৬ জানুয়ারি দুপুর পৌনে ৩টায় বরাবরের মতো আমাকে ও আমার সন্তানদের গালিগালাজ করে। মারধরের চেষ্টা করে। তখন আমি ৯৯৯ কল দেই। এরপর ধানমন্ডি থা্না পুলিশ ওই ঠিকানা পৌঁছালে আমার স্বামী বাসা থেকে বের হয়ে যান। এ অবস্থা আমি নিরাপত্তাহীনতায় আছি। তিনি আমার ও আমার সন্তানদের যেকোন সময় ক্ষতি করতে পারেন।

গত ৭ ডিসেম্বর নারীর প্রতি বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ও কয়েকটি অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় ডা. মুরাদ হাসান প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। তাকে আওয়ামী লীগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এরপর ৯ ডিসেম্বর রাতে কানাডার উদ্দেশে তিনি কূটনৈতিক পাসপোর্টে ঢাকা ত্যাগ করেন।

কিন্তু কানাডা বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি সিবিএস কর্মকর্তারা প্রায় ৩ ঘণ্টা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে দেশের উদ্দেশে ফেরত পাঠানো হয়। এমনকি তিনি যাতে ভবিষ্যতে কানাডায় প্রবেশ করতে না পারেন সেজন্য তার আঙ্গুল ও হাতের ছাপ, ছবি এবং স্বাক্ষর সংগ্রহ করে রাখে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ।