সেনানায়ক থেকে রাষ্ট্রনায়ক: জিয়াউর রহমান দ্য গ্রেট

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

মে ৩০ ২০২১, ১৮:৪৪

মনোয়ার শামসী সাখাওয়াত: রাজনৈতিক নেতৃত্ব খুব গুরুত্বপূর্ণ। সংগঠন বা দল যেমন থাকতে হয় তেমনি ক্যারিশম্যাটিক ব্যক্তিত্ব ও নেতৃত্বও থাকতে হয়। এই নেতৃত্ব যে সবসময় সিভিল সমাজ থেকেই আসবে এমন কোন ধ্রুব সত্য নেই। এই নেতৃত্ব অনেকসময় সামরিক সমাজ থেকেও আসতে পারে। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন অনেকবারই হয়েছে। অনেকবারই সামরিক নেতৃত্ব সামরিক সমাজের গন্ডী অতিক্রম করে বৃহত্তর রাজনৈতিক সমাজের নেতৃত্বে বরিত হয়েছেন। এর উজ্জ্বল উদাহরণ হিশেবে রয়েছেন সালাহউদ্দীন আইয়ুবী, নেপোলিয়ন বোনাপার্ট, শার্ল দ্য গল কিংবা ডোয়াইট ডি আইজেনহাওয়ার।

আমাদের বাংলাদেশের বিগত পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসেও এমন একজন বরেণ্য সামরিক নেতৃত্বের রাজনৈতিক নেতৃত্বে রূপান্তরিত হওয়া আমরা দেখতে পেয়েছি। মুক্তিযুদ্ধের সেনানায়ক থেকে সামরিক সমাজের প্রতিনিধিত্বশীল নেতৃত্ব হয়ে শেষ অবধি জাতীয় রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং রাষ্ট্রনায়ক হয়ে উঠেছিলেন তিনি। এবং অল্প সময়কালের মধ্যে তিনি উপমহাদেশীয় এবং মুসলিম বিশ্বের প্রেক্ষাপটে তার নেতৃত্বের বিভা বিচ্ছুরিত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। এটা তার অসাধারণ প্রতিভা, সৌভাগ্য, সততা এবং কর্মোদ্যোগের ফলেই সম্ভব হয়েছিল।

বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পরিগঠনে তিনি যে ভিত্তিকাঠামো নির্মাণ করেছিলেন সেটাকেই অদল-বদল করে এই রাষ্ট্র এখনো টিকে আছে। কিন্তু তিনি যদি আরো সময় পেতেন তাহলে তিনি বাংলাদেশ রাষ্ট্রের পরিগঠনকে যে আরো উত্তুঙ্গ পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হতেন এতে কোনো সন্দেহ নেই।

রাষ্ট্রের পরিগঠন মিডিওকার নেতৃত্ব দিয়ে হয় না। পরিগঠিত হয়ে যাবার পরে হয়তো কেবল রক্ষণাবেক্ষণ তারা করতে পারে। নয়তো এদের হাতে আধা পরিগঠিত রাষ্ট্র অবক্ষয় এবং বিনষ্টির দিকে ধাবিত হয়।

মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণের সেনানায়ক এবং পরবর্তীকালে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের রাষ্ট্রনায়ক জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের বিগত পঞ্চাশ বছরের বিনির্মাণ কালের যে ইতিহাস—সেখানে তিনি অন্যতম প্রধান বরপুত্র। তার দেখানো পথ থেকে পরবর্তী বাংলাদেশ পুনর্গঠনের আসন্ন নেতৃবৃন্দের অনেক কিছু শেখার আছে।