সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে: মেয়র তাপস

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ১১ ২০২১, ১৪:১১

মানহানিকর বক্তব্য দেয়ায় সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন বর্তমান মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস।

সোমবার (১১ই জানুয়ারি) রাজধানী কমলাপুর টিটিপাড়া সায়েদাবাদ গোপীবাগ সহ বিভিন্ন এলাকার বক্স কালভার্ট এর ময়লা ও বর্জ্য অপসারণ কাজ পরিদর্শন করতে এসেছেন সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে সিটি করপোরেশনের চলমান অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি। বলেন, বিভিন্নভাবে যারা টাকা লেনদেন করেছেন তারাই দুর্নীতির অভিযোগ তুলছেন।

এই অভিযোগ তার নিজের নয় বলেও জানান তাপস। সাবেক মেয়রের এমন বিষোদাগার ব্যক্তিগত আক্রমণ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তাপস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বক্স কালভার্টের আবর্জনা পরিষ্কারের কাজ বন্ধ ছিল। রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ওয়াসা থেকে পাওয়া যন্ত্রপাতির বেশিরভাই অচল বলেও জানান তিনি।

আগামী বর্ষা মৌসুমের আগেই খাল পরিষ্কার কাজ শেষ হলে নগরবাসী সুফল পাবেন বলে জানান মেয়র তাপস।

রোববার (১০ই জানুয়ারি) ‘ব্যক্তিগত আক্রোশের’ কোনো বক্তব্যের ব্যাখ্যা দেওয়াটাও সমীচীন নয় বলে মন্তব্য করে মেয়র তাপস বলেন, ডিএসসিসির সাবেক মেয়র সাঈদ খোকন যা বলেছেন, সেটা তার ব্যক্তিগত অভিমত। এটার কোনো গুরুত্ব বহন করে না।

এর আগে শনিবার (৯ই জানুয়ারি) রাজধানীতে এক মানববন্ধনে শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন বলে দাবি করেন সাবেক মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।

লিখিত বক্তব্যে সাঈদ খোকন বলেন, ‘দক্ষিণ সিটির বর্তমান মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস তার পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। মেয়র তাপস দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই দুর্নীতির বিরুদ্ধে গলাবাজি করে চলেছেন। আমি তাকে বলব, রাঘব-বোয়ালদের মুখে চুনোপুঁটির গল্প মানায় না। দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন গড়তে হলে সর্বপ্রথম নিজেকে দুর্নীতিমুক্ত হতে হবে। তারপর চুনোপুঁটির দিকে দৃষ্টি দিতে হবে।’

সাবেক মেয়র আরও বলেন, ‘ফজলে নূর তাপস দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের শত শত কোটি টাকা তার নিজ মালিকানাধীন মধুমতি ব্যাংকে হস্তান্তরিত করেছেন এবং এই শত শত কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ করার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা লাভ হিসাবে গ্রহণ করেছেন এবং করছেন। ধরনের কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে মেয়র তাপস সিটি করপোরেশন আইন ২০০৯ ২য় ভাগের ২য় অধ্যায়ের অনুচ্ছেদ ৯ (২) (জ) অনুযায়ী মেয়র পদে থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন।’