সরকারের বিদায় হবে গণঅভ্যুত্থানে: মোশাররফ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

ডিসেম্বর ৩১ ২০২২, ০১:১০

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আগামী দিনে জনগণ রাস্তায় নেমে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি করে সরকারকে বিদায় করবে। তার নমুনা আজকের এই গণমিছিল।

তিনি বলেছেন, স্বৈরাচার নিজেরা ক্ষমতা ছাড়ে না। তাদেরকে বাধ্য করতে হবে। তার জন্য আমাদের নেতাকর্মীরা প্রাণ দিয়েছে। সারাদেশে আমাদের ২৪ হাজার নেতাকর্মী আজ জেলে। কিন্তু আমাদের দমাতে পারেনি। সুতরাং যতই গ্রেফতার করা হোক না কেনো, রাস্তায় জনগণ নেমে গেছে। আর তাদের থামানো যাবে না ।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির উদ্যোগে গণমিছিল পূর্ব সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

সরকারের পদত্যাগ ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিসহ ১০ দফা বাস্তবায়ন এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসসহ সকল নেতৃবৃন্দের মুক্তির দাবিতে এই গণমিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

গণমিছিলের আগে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের জন্য কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ট্রাকের ওপর অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়। মিছিলটি কাকরাইল মোড়, শান্তিনগর, মালিবাগ, মৌচাক হয়ে মগবাজারে গিয়ে শেষ হয়।

১১ জানুয়ারি গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস আজকে গণমিছিলে যেসব জোট ও দল আমাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করে ঢাকায় কর্মসূচি করেছেন, ওই সকল দলগুলো যুগপৎভাবে আগামী ১১ জানুয়ারি এই গণঅবস্থানের কর্মসূচি দেবেন। আর আমরা আহ্বান জানাই, এই আন্দোলনের সঙ্গে যারা একাত্মতা ঘোষণা করেছেন- আগামীতে এই গণঅবস্থান কর্মসূচিকে সফল করে দ্বিতীয় কর্মসূচি দিয়ে আপনারা এই সরকারের বিদায়ের দুই নম্বর সতর্ক বার্তা উচ্চারণ করবেন।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, জনগণ বুঝতে পেরেছে- এরা গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে- এরা গণতন্ত্রকে ফেরত দেবে না। অর্থনীতিকে ভেঙে দিয়ে লুটপাট করেছে, তারা অর্থনীতিকে মেরামত করতে পারবে না। বিচার বিভাগকে স্বাধীন করতে পারবে না। সমাজের ভারসাম্য আনতে পারবে না। দেশে একটি শান্তিপূর্ণ সমাজ গঠন করতে পারবে না। তার জন্য তাদের বিদায় করে দেওয়া উচিত।

সরকার গায়ের জোরে ক্ষমতায় আছে মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, এরা ফ্যাসিস্ট এবং স্বৈরাচার। আর আন্তর্জাতিকভাবে হাইব্রিড সরকার নামে পরিচিত। তাদের সঙ্গে দেশের জনগণের কোনো সম্পর্ক নাই। জনগণের প্রতি কোনো দায়বদ্ধতা নাই। এ কারণে গণতন্ত্রকে হত্যা করে অলিখিত বাকশাল চালাচ্ছে।

‘আর সংসদ নির্বাচন থেকে শুরু করে স্থানীয় নির্বাচন পর্যন্ত জনগণ ভোট দিতে পারে না। তারা ভোট কেড়ে নিয়েছে এবং ভোট ডাকাতি করেছে।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, শত বাধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে এবং রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে আজকে আপনারা এখানে সমাবেত হয়েছেন। আর এই গণমিছিলকে সফল করার জন্য যারা এসেছেন-তাদের বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দলের নেতৃবৃন্দের পক্ষ থেকে আপনাদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাই।