শাওয়ালের ছয় রোজা: কয়েকটি উপকারিতা
একুশে জার্নাল ডটকম
মে ১৫ ২০২১, ১৯:০৯
এক বছরব্যাপী রোজা রাখার ছাওয়াব
প্রিয় নবী (সঃ) বলেন, যে ব্যাক্তি রমযানের রোজা রাখল এরপর শাওয়াল মাসে ছয়টি রোজা রাখল সে যেন গোটা বছর রোজা রাখল। (সাহীহ মুসলিম)
অন্য বর্ণনায় আছে, আল্লাহ এক নেকীকে দশগুন করেন সুতরাং এক মাসের রোজা দশ মাসের রোজার সমান বাকী ছয়দিন রোজা রাখলে একবছর হয়ে গেল’ (নাসায়ী- ইবনে মাযাহ)
শাওয়াল ও শা’বান মাসে নফল রোজা সুন্নাত নামাজের সাদৃশ্য।
ফরজ নামাজের পুর্বে ও পরের সুন্নাত যেভাবে ফরজ আদায়ের ক্ষেত্রে ত্রুটি ও অবহেলায় সৃষ্ট ঘাটতির পরিপুরক, শাওয়াল ও শা’বানের রোজাও রমযানের ফরজ রোজার ঘাটতি পুষিয়ে নেয়। কেননা নফল এবাদত ফরজের ঘাটতি পুরন করে।
রমযানের এবাদত কবুলের নিদর্শন
শাওয়ালের ছয়টি রোজা রাখলে মনে প্রশান্তি আসে যে আল্লাহ রোজা কবুল করেছেন, কেননা আল্লাহ যে বান্দাহ’র এবাদত কবুল করেন তাকে আরও আমলের তাওফিক দেন, অনেক সালাফ থেকে বর্নিত, নেক কাজের পর আরেকটি নেক কাজ পুর্বের নেক কাজ কবুল হওয়ার আলামাত।
আল্লাহর নিয়ামতের শুকরিয়া আদায়।
আল্লাহ রমজানের পুর্নমাস রোজা ও এবাদাতের তাওফিক দিয়েছেন, ঈদের দিন ক্ষমার ঘোষণা ও দিয়েছেন, এর শুকরিয়া হিসাবে ছয়টি রোজা রাখা উচিত। সালাফদের মধ্যে অনেকেই সারা রাতব্যাপী এবাদত করার তাওফিক প্রাপ্ত হলে শুকরিয়া স্বরুপ পরদিন রোজা রাখতেন।
সাদকা- খায়রাতের ঘাটতি পুরণ
হযরত উমর ইবনে আব্দুল আজীজ রহঃ বলেন,من لم يجد يتصدق به فيصم
যে সাদাকার সামর্থ রাখেনা সে যেন রোজা রাখে।
উল্লেখ্য, শাওয়ালের ছয়টি রোজা ঈদের পরের দিন থেকে রাখা জরুরি নয়, শাওয়াল মাসের মধ্যে রাখলেই
হবে, ধারাবিহক হতে পারে পৃথক পৃথক ও হতে পারে। আল্লাহ আমাদের আমল করার তাওফিক দিন।
লেখক: মুহাদ্দিস ও কলামিস্ট।