লক্ষ্মীপুরে স্কুলছাত্রী অপহরণের ১৪দিন পরও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ

একুশে জার্নাল ডটকম

একুশে জার্নাল ডটকম

জানুয়ারি ২২ ২০২২, ১৩:৪৮

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর থেকে অপহৃত কিশোরী স্কুল ছাত্রীকে ১৪ দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। এ দিকে অপহরণকারিদের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ থানায় দায়েরকরা মামলা প্রত্যাহার করার জন্য আসামীরা নানা হুমকী ধমকী দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কিশোরী স্কুল ছাত্রীর পরিবার।

জানাযায় গাজীপুর জেলার শ্রীপুর থানার চর্ণপাড়ার বাসিন্দা ইব্রাহীমের কিশোরী মেয়ে লাবণ্য আক্তার (১৫) লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার উত্তর জয়পুর ইউনিয়নের উত্তর জয়পুর গ্রামের নানার বাড়িতে বেড়াতে আসে। গত ৮ জানুয়ারী বিকালে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে সদর উপজেলার বাঙ্গাখাঁ গ্রামের বাসিন্দা লাবণ্য আক্তারের ফুফা ইউছুফের নেতৃত্বে পরিবারের লোকজন নানার বাড়ির দরজা থেকে তাকে অপহরণ করে নিয়ে নিজ বাড়িতে আটকে রেখে চলতি বছর এস এস সি পাশ করা তাদের কিশোর পুত্র সাহেদ (১৯) এর সাথে জোর পূর্বক বাল্য বিয়ে সম্পন্ন করে।

খবর পেয়ে লাবন্যর বাবা মা গাজীপুর থেকে এসে বাঙ্গাখাঁ গ্রামে তাদের মেয়েকে উদ্ধার করতে গেলে পরিবারের লোকজন তাদের উপর হামলা করে। পরে পুলিশে খবর দিলে চন্দ্রগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই লাবন্যকে নিয়ে অপহরণকারিরা পালিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে গত ১২ জানুয়ারী কিশোরী স্কুল ছাত্রী লাবণ্যের মা লাকী আক্তার বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় ৫ জনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা দায়ের করে। পুলিশ ঐদিন রাতে মামলা না নেওয়ার জন্য চন্দ্রগঞ্জ থানায় তদবীর করতে এলে কিশোরীর ফুফা ইউছুফকে আটক করে দায়েরকৃত মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করে।

এর পর থেকে পুলিশ বাকী আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য কোন উদ্যোগ নিচ্ছেনা বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী লাকী আক্তার। এদিকে মামলা প্রত্যাহার করার জন্য আসামী পক্ষের লোকজন প্রতিনিয়ত বাদীর পরিবারকে নানা ভাবে হুমকী ধমকী দিয়ে যাচেছ।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চন্দ্রগঞ্জ থানার সাব ইন্সপেক্টর ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বিকাশ চক্রবর্তী জানান পুলিশ আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য নানা ভাবে তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু সু-নিদ্দিষ্ট তথ্যের অভাবে গ্রেপ্তার করতে পারছেনা।

একমাত্র মেয়েকে দীর্ঘ ১৪ দিনেও ফেরৎ না পেয়ে পরিবারের সদস্যরা হতাশ হয়ে পড়েছেন। তারা মেয়েকে উদ্ধারের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।